Menu Close

জীবন নাশের হুমকি নিয়ে পালিয়ে নিউইয়র্কে স্বরূপকাঠি মেয়র

পৌরসভার সাবেক মেয়র ও স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আহসান জীবন বাঁচাতে এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

 

 ২০০৪ সালে বিপুল ভোটে বিজয়ী মেয়র আহসান এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাসী সর্বহারা ও চাঁদাবাজ দমনে সচেষ্ট ছিলেন। সার্বক্ষনিকভাবে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় রাস্তাঘাট নির্মাণ, ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করেছেন। বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় এলাকার উন্নয়নে বেশ সফলতা পেয়েছেন ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। কিন্তু ২০০৭ সালে মঈন-ফকরউদ্দিন ক্ষমতা দখল করলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের প্ররোচনায় সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং প্রায় চার মাস জেল খাটেন। তখন থেকেই নেমে আসে পরিবারের প্রতি অকথ্য নির্যাতন। বাধ্য হয়ে স্ত্রী সন্তানদের ঢাকাতে স্থানান্তরিত করে নিজে এলাকায় বসবাস করতে থাকেন।

 

কিন্তু ২০১০ সালের ৫ই অক্টোবর গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসীরা বাড়ী থেকে অপহরণ করে মেয়র আহসানকে, জোড় পূর্বক মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর করিয়ে নেয়। পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার শর্তে আপাতত মুক্তি দিলেও ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে চাঁদা পরিশোধ না করলে পরিবারের সকল সদস্যসহ মেয়র আহসানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত সর্বহারা সন্ত্রাসীরা। থানায় সাহায্য চাইলে ওসি ক্ষমতার পরিবর্তনের কারণে কিছু করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং নিজের জীবন বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মেয়র আহসান।

 

পুরোনাম মোহাম্মাদ মাহবুব আহসান, বাবা মোহাম্মাদ মতিয়ার রহমান ছিলেন একজন সমাজ সেবক, পিরোজপুর জেলার নাছারাবাদ থানায় তাঁর জন্ম। ১৯৯৯ সনে প্রথম মেয়র নির্বাচন করলে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকলেও তৎকালীন সরকার ফলাফল ছিনতাই করে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয়।

২০০৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়রের দায়িত্ব পালনের সফলতার কারণে ২০০৯ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি সিটি মেয়রদের আমন্ত্রণে -সেভেন্থ মেয়র ফর পিস কনফারেন্সে- মাত্র ১৩ জন নির্বাচিত মেয়রদের মাঝে নিজেকে স্থান করিয়ে নেন এবং ওই সম্মেলন কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। ২০১০ সালের প্রথম দিকে নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের আমন্ত্রনে মোট দশজন মেয়রের সাথে তিনি মেয়র ফর পিস অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

 

এতকিছুর পরেও বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে নিজের জীবন বাঁচাতে দেশের মায়া ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।