যেকোন মুহুর্তে বন্ধ হতে পারে দক্ষিনাঞ্চলের বাস চলাচল

মালিক সমিতির মধ্যে বিরোধ সৃস্টি হয়েছে। চাদা আদায় নিয়ে এ বিরোধ বলে জানা গেছে।  
সুত্রমতে, গত কয়েক দিন পূর্বে পটুয়াখালী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের এক দল শ্রমিক বরিশালের প্রান্তে এসে প্রতি বাস থেকে চাদা আদায় শুরু করে। এ সময় বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ দুই জনকে হাতে নাতে আটক করে। এ ঘটনায় ইতো মধ্যে একটি মামলা দায়েরও করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, মামলার পর শ্রমিকরা চাদাবাজী ছেড়ে দিলেও শ্রমিক নেতা মঞ্জু গাজী ও বেল্লাল মিয়া শ্রমিকদের পূর্নরায় এ কাজ করার জন্য হুমকী ধামকী দিচ্ছে। পটুয়াখালীর শ্রমিকরা লেবুখালীর এ প্রান্তে এসে চাদাবাজী করায় ক্ষুব্দ বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিকরা। তাই এ নিয়ে যে কোন মুহত্তে পূর্বের ন্যায়ে শ্রমিক বিরোধের অশংকা রয়েছে।

এদিকে পূর্বে বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস গুলো থেকে পটুয়াখালী প্রান্তের কোন কাউন্টার ফি দেয়ার নিয়োম নেই। তারপরও গত কয়েক দিন ধরে আমতলা কাউন্টারে প্রতিবাস থেকে ১৪০ টাকা করে ও খেপুপাড়া থেকে বাস প্রতি ১৮০ টাকা অবৈধ ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে। পাশাপাশি কুয়াকাটা থেকে আসার পথে কুয়াকাটা কাউন্টারের ফি ৫০ টাকা নির্ধারন করা হলেও সেখানে রাখা হচ্ছে ৮০ টাকা ও মহিপুর কাউন্টারের ফি মাত্র ২০ টাকা নির্ধারন করা হলেও সেখানে রাখা হচ্ছে ১৮০ টাকা। বরিশালের বাস মালিকদের দাবী অবৈধ ওই কাউন্টার ফি না দিলে বাস চালকদের মারধরের হুমকী দেয়া হচ্ছে। তাই কোন রকমের সংঘাত এড়াতে তাদের নির্ধারিত অতিরিক্ত কাউন্টার ফি পরিশোধ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস ভাড়া বাড়ানো হয় নি। তাই এমনি ভাবে চললে ওই রুটে বাস চলাচল প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়া হবে। তাই পটুয়াখালী বাস মালিক ও শ্রমিকদের সেচ্ছাচারিতায়  আবরও বরিশাল মিনিবাস মালিক সমিতির মধ্যে বিরোধ সৃস্টি আশংকা করা হচ্ছে। ঈদের আগে এ বিরোধ দূর করা না হলে যাত্রীদের দূভোগের সীমা থাকবে না।

এ ব্যাপারে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহিন বলেন, পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির এ খামখেয়ালীপনা থামানো প্রয়োজন। কোন বাস মালিকই লোকসান দিয়ে বাস চালাতে পারবে না। তাই এমনি ভাবে চললে বরিশালের সাথে তাদের আবারও বিরোধ সৃস্টি হতে পারে। তিনি এ ব্যাপারে দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতাশীন দলের মন্ত্রি, এমপিসহ সরকারী আমলাদের সহযোগীতা চেয়েছেন।