বরিশালে মটরসাইকেল চালককে হত্যার চেষ্টায় হাতুড়িপেটা

কুপিয়ে মাথায় হাতুরী দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। নাজির মহল্লা’র বাসিন্দা আহত’র নাম নুরে আলম নুরু(৩০)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের মোর সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটানোর পর সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে ফের হাসপাতাল চত্বরে প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে । ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে।

বরিশাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুর পাশে রয়েছেন মা মমতাজ বেগম, বোন আছমা, স্ত্রী লাকী বেগম। তারা আতংকে রয়েছেন। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের বেডসহ আশপাশে ঘুরছে। মা মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ওরা আমার ছেলে নূরুকে বাচতে দেবে না।  আমার ছেলেকে ওদের হাত থেকে বাচান। ওরা আমার ছেলেকে মারধর করলে সে থানার অভিযোগ নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ রাখেনি। আহত নূরু জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় আমি থানা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার ছোট ভাই রুবেলকে পকেটে চাকু ডুকিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এবং আমাকে ডাকাত বলে প্রমান করার চেষ্টা করে। পুলিশ আমার শরীরের জখম দেখে প্রথমে  হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে। সেই থেকে আমাকে পুনরায় মারার জন্য ওরা হাসপাতালের অভ্যান্তরে ডুকেও আমাকে হুমকি দিয়েছে। নূরু নিজেকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করার অনুরোধ জানান প্রশাষনের কাছে।

বোন আছমা জানায় সন্ত্রাসীরা ক্ষমতাধর। তাদের বিরুদ্ধে  মুখ খুলতে অপরগতা প্রকাশ করে  বলছে অশ্র“সিক্ত নয়নে বলেন, ভাই কিছু লিখবেন না ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলবে। আরেক ভাই রুবেলকেও ওরা হত্যা করতে চাচ্ছে।

আহত নূরু জানায়, নাজিরেরপুলের সন্ত্রাসী মনা, মনা খোকন, কালা, ফকর,ডলার শাহীন, রফিক,শাহীন অতর্কিকভাবে জেলখানার মোরে তার উপর হামলা চালায়। মাথায় হাতুড়ি ও ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানায় যায়। সেখানে গিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে কর্তব্যরত চিকিৎিসক তাদেরকে জানিয়েছে আগে চিকিৎসা নেন। থানা থেকে বের হওয়ার পর ফের নুরু ও তার ভাই রুবেলের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

এদিকে রাত  পোনে ১০টায় বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহেদুজ্জামান শাহেদ জানান বিষয়টি এখনই দেখছি।

উল্লেখ্য মাসখানেক আগে নাজিরমহল্লায় এইসব সন্ত্রাসীরা কাঠ মিস্ত্রীদের কাছে গাজা কাটার জন্য বাটল চেয়ে  ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কাঠ শ্রমিকদের উপর হামলা চালালে মটরসাইকেল শ্রমিক নেতা নুরুসহ শ্রমিকরা প্রতিবাদ করে। এ ঘটনার জের ধরে নুরুকে হত্যার চেষ্টার মিশন চলছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।