সংস্কৃতিমনা আব্দুস সালামের পাশে দাড়াতে বিশেষ আবেদন

এক মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা শরীফ আব্দুস সালাম আজ প্যারালাইস্ট হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন।

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী দারুসসুন্নাত সিনিয়র মাদ্রাসার জনপ্রিয় শিক্ষক মাওলানা শরীফ আব্দুস সালাম পিতার নাম মৃত: শরীফ মো: মুজাফ্ফার আলী দীর্ঘদিন যাবদ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

গ্রামের ছোট বড় সকলের সাথে সুসম্পর্ক রাখা, সভা সমাবেশে যার ছিল সচল উপস্থিতি। সমাজের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে মাঝে মাঝে লেখা লেখিও করতেন। লিখতেন ছোট গল্প, কবিতা। অর্থাৎ ইসলামিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান ছিল অনেক। কিন্তু প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝর সিডর তার ঘর-বাড়ী ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তিনদিন পরে সেজো ভাবীর মৃত লাশ দেখে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন এই শিক্কক। কিছুদিন পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার শরীরের এক পাশ অবস হয়ে যায়। বরিশালে উন্নত চিকিৎসা না হওয়ায় ঢাকার হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে ভর্তি হতে হয় তাকে। চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে পৈত্রিক জমি টুকুও বন্দক দিতে হয়। ভাগ্যের র্নিমম পরিহাস তার কিছুদিন পরে তার ডান চোখে ছানি পড়ার করনে চিকিতসক অপারেশনের পরামর্শ দেন ঢাকার ইসলামিয়া হাসপাতালের ডাক্তারগন।

অর্থাভাবে অপারেশন আর করা হয়নি। চিকিৎসার খরচ আর পরিবার পরিচালনার দুশ্চিন্তায় অসহায় জীবন যাপন করতে লাগেন তিনি।

কর্মচঞ্চল এ মাদ্রাসা শিক্ষক এক সময় ছাত্রদের কাছে সাংসকৃতিক শিক্ষক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলায়। এখন তিনি নির্জীব এক মানুষ। পৈতৃক ভিটে বাড়ী বিক্রি শেষ। রোগ আর শোকে তিনি এখন পাথর। নেই চিকিৎসার খরচ, পরিবারের মুখে তুলে দেয়ার মতো নেই চাল-ডালও। শুধু মানুষের দানে চলে তার চিকিৎসার খরচ। এক সময় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতেন যিনি তিনি এখন নিজেই সাহায্য প্রার্থী।

এই মুহুর্তে একটি হুইল চেয়ার ও চিকিৎসা চালাতে সমাজের প্রভাবশালীদের সাহায্য করেছেন তিনি। তাই স্ব-হৃদয় ব্যক্তিদের প্রতি তার সাহায্যের আকুল আবেদন।

 

সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা:

মাওলানা শরীফ আব্দুস সালাম

চলতি হিসাব নং- ৮৬৭৪

ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ

পটুয়াখালী শাখা