আগৈলঝাড়ায় মাছের পোনা বিতরণে তুমুল হট্টগোল

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাপে কম দেয়ায় গতকাল রবিবার সকালে মাছ বিতরণের সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে উপজেলার দু’ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরা মাছের পোনা না নিয়েই চলে গেছেন।

জানা গেছে, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ গতকাল রবিবার সকালে সংশ্লিষ্ট ৫ চেয়ারম্যানকে প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ১’শ কেজি মাছের পোনা বুঝে নেয়ার জন্য খবর দেন। সে মতে গতকাল রবিবার চেয়ারম্যানরা মাছের পোনা বুঝে নিতে আসেন। ঠিকাদার জামাল সরদার ওজনে কম দিয়ে ও ৮০ ভাগ মৃগেলসহ ২০ ভাগ রুই-কাতলা মাছ দিতে চাইলে রাজিহার ও বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম সরদার ঠিকাদারের পক্ষাবলম্বন করে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাছ নেয়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে ভাইসচেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ সময় রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইলিয়াস তালুকদার ও বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপুল দাস মাছ না নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এনিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম সরদারের দ্বিতীয় দফায় বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় পুরো উপজেলা কম্পাউন্ড এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করে বলেন, ক্রয় কমিটি “গুজের মাধ্যমে” টেন্ডার প্রক্রিয়া করেছে। তাই ঠিকাদার অনিয়ম ও মাপে কম দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। মাইকিং করেও মাছ ছাড়ার কথা জানানো হয়নি। গত বছরও একই ঠিকাদার জামাল একই নিয়মে মাছের পোনা সরবরাহ করেছে। ওই বছর সে (ঠিকাদার জামাল) সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নামেমাত্র মাছের পোনা দিয়ে ব্যারেলের খালি পানি জলাশয়ে ঢেলে হাতিয়ে নিয়েছিল অবৈধ অর্থ। এবারো একই প্রক্রিয়ার চালাতে চেয়েছিলো। এ ব্যাপারে ক্রয় কমিটির প্রতিনিধি (ক্ষমতাপ্রাপ্ত) ভাইস চেয়ারম্যান জসিম সরদার বলেন, রাজিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার দু’বার করে মাছ মাপার দাড়িপাল্লা ফেলে দিয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করেছি। ঠিকাদার আমার বড়ভাই, তাকে ধাক্কা দিয়ে ইলিয়াস ফেলে দেয়ায় তাদের সাথে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটতে পারে এ আশংকায় আমি এগিয়ে এসেছিলাম। মাছ কম-বেশী বা অনিয়ম হয়েছে কি না আমি সে ব্যাপারে ঠিকাদারের পক্ষ হয়ে কিছুই বলিনি। পোনা ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।