শাবি বন্ধু দিবসে উৎসবে মেতে উঠেছিল বন্ধুরা

অভিমানে/দেখা হবে…’। বন্ধুকে নিয়ে রচিত হয়েছে হাজারো গান আর কবিতা। বন্ধুর কাছেই তো নিজেকে উজার করে সবকিছুই ভাগ করে নেয়া যায়। জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে মিশে থাকে বন্ধুই তো! বন্ধুত্বের ভেতর লুকিয়ে থাকে আত্মার আত্মিক বন্ধন। বন্ধুকেই আরেকটু বেশি ভালোবাসতেই বিশ্ব বন্ধু দিবস পালন। সারাদেশের মতো এবারো ৭ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) তে আনন্দ উৎসবের মধ্যে পালিত হলো এবারের বন্ধু দিবস। ক্যাম্পাসে বসেছিল নতুন পুরাতন বন্ধুদের মিলন মেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বর্ষায় যেন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ সেই সাথে বন্ধুরাও মিশে গেছে তার সাথে। ওইদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আড্ডাস্থানে ভীড় জমতে থাকে। টিলার উপরে শহীদ মিনার ছিল বন্ধুদের অন্যতম আড্ডাস্থান। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের পাশেই সবুজ ঘাসের উপর বসেছিল কয়েক বন্ধু। জানা গেল তারা কিভাবে এ দিনটিকে পালন করে। বন্ধুদের বন্ধন আরো মজবুত করার জন্য একজন অন্যজনকে দিয়েছে উপহার সামগ্রী। বন্ধুর ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা জীবনের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে পারে। এমন বিশ্বাসের সাথে অনেকেই একমত পোষণ করবেন। বন্ধুত্ব মানেই হলো জীবনকে সহজ করা। চলমান জীবনে সুখে-দুঃখে বন্ধুর পাশে না থাকলেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ থাকছে। প্রযুক্তি পৃথিবীর সব বন্ধুকে নাগালের মধ্যে রেখেছে ফেইসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলো। ক্যাম্পাস জীবনে বন্ধুর সহযোগিতা পরম পাওয়া। শাবিতে বন্ধু দিবস ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়  নানা আয়োজন। শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে অনুষ্ঠানে এসে যোগদিয়ে বন্ধুত্বকে আরো অটুট রাখা প্রত্যয় ব্যক্ত করে। ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার শিক্ষার্থী সাবিহা তাবাসসুম, বন্ধু ছাড়া আমরা চলতে পারি না। এ দিনে সব বন্ধদেরই খুব মিস করি। ক্যাম্পাসের বন্ধুদের নিয়ে পালন করছি। রসায়ন বিভাগের সুলতানা তারিন জানায় তার বন্ধদের নিয়ে কথা। বন্ধু দিবসে সব বন্ধুদের কথাই আমার মনে পড়ছে। বাল্য বন্ধুরাই কেমন যেন আমার ভীষণ মনে পড়ে। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের আসিফ বলেন, বন্ধু দিবসটি ঘটা করেই পালন করা হয়। ক্যাম্পাসে থাকছি বলেই হয়তো আরো বেশি মজা হচ্ছে। বাসায় থাকলে এতোটা হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএমএস এর মাধ্যমেও অনেকে বন্ধুকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছে তাদের অনুভূতির কথা। বিদেশের বন্ধুদের জানিয়েছে ই-মেইল আর সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমে। পৃথিবীতে সবার মাঝে গড়ে উঠুক বন্ধুত্বের বাধনে আত্মিক সম্পর্ক। যেখানে থাকবে না ভেদাভেদ, থাকবে না কোন দ্বেষ-বিদ্বেষ। বন্ধু দিবসে বন্ধুত্বের বন্ধনকে চিরদিন অটুট রাখার অঙ্গীকার নতুন ভাবে ব্যক্ত করার মাধ্যমে অনাগত প্রতিটি দিনই হোক সবার জন্য সুখের, আনন্দের এমটিই প্রত্যাশা করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা।