নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৭ শিক্ষকের পদ শুন্য

বিদ্যালয়ে ১২টি প্রধান শিক্ষকের পদসহ ১৪৭ শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক দফায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও এ উপজেলার শুন্য পদের বিপরীতে তা ছিল একেবারেই অপ্রতুল।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, এ উপজেলায় ৯৯টি সরকারি ও ৭১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ে ৭ জন প্রধান শিক্ষকসহ ৫০ জন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ নিয়োগ পাওয়া ৬৫ শিক্ষক পিটিআই প্রশিক্ষণে যাওয়ায় এসব পদগুলো শুন্য অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৫ জন প্রধান শিক্ষক ও ৩২ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আরো জানান, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ ক্ষমতা তুলে নেয়ায় বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ায় শুন্য পদের পাল¬া দিনের পর দিন ভারী হচ্ছে। অবিলম্বে এ জটিলতার নিরসন করা না হলে আগামিতে তা প্রকট আকার ধারন করবে তিনি দাবি করেন।

দ্বারিয়াপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৪ শিক্ষকের মধ্যে ইতোমধ্যে দু’জন শিক্ষক অবসরে গেছেন। প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ও সহকারি শিক্ষক আকবর আলী গত ১০ জুলাই অবসর গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়টিতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত লেখা-পড়া করে। মাত্র দুইজন শিক্ষক বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। শিক্ষক নিরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, একজন শিক্ষককে অফিসিয়াল কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। শুধুমাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। অবিলম্বে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া না হলে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে ধ্বস নামবে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।