প্রবল বর্ষনে পান চাষীদের মাথায় হাত

বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা এনে পান চাষ করেছেন চাষীরা। প্রবল বর্ষণে পান বরজে পানি জমে পান লতায় পচন ধরায় পান চাষীদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সোমবার বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে এসব তথ্য।

সূত্রমতে, একটানা ভারি বৃষ্টির কারণে পান বরজে পানিজমে পান লতার গোড়ায় পানি জমে যায়। ফলে পান বরজের অধিকাংশ লতার গোড়া পচন ধরে শুকিয়ে যাচ্ছে। সেরাল গ্রামের পান চাষী সুভাষ ব্যাপারি জানান, প্রবল বর্ষণের ফলে তার পান বরজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রত্নপুর ইউনিয়নে। এখানে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা হলেন, গোলাম মোস্তফা সরদার, সিদ্দিক কবিরাজ, নিখিল সরকার, বাবুল দাস, পরান সরকারসহ অনেকেই। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাকাল গ্রামের রহমান সরদারের পুত্র ফেরদৌস সরদার ও নিরাঞ্জন বাড়ৈর পুত্র চিত্ত রঞ্জন বাড়ৈ। ফুল¬শ্রী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষি বলরাম, কানাই, বাদল, ভবতোষ, সুবল, গৌরাঙ্গ ও শৈলেন দাস জানান, একদিকে লাগাতর বর্ষা, অপরদিকে লতার গোড়া শুকিয়ে পচন রোগ দেখা দিয়েছে।

আগৈলঝাড়া উপজেলার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলায় মোট ২’শ হেক্টর জমিতে পান চাষ করছে ২২’শ ৩৫ জন চাষী। অধিকতর লাভের আশায় চাষীরা না বুঝে নীচু জমিতে পান চাষ করায় বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।