মেহেন্দিগঞ্জে দু’শিক্ষিকার হাতাহাতি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই সহকারী শিক্ষিকার মধ্যে নারকেলের সলা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। স্কুলের দ্বিতীয় সাময়িক চারু-কারু পরীক্ষার জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে আসা নারকেলের সলা নিয়ে শহিদুল তালুকদারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (রোজী) ও আলম সরদারের স্ত্রী জোসনা বেগমরে সাথে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা একেক জন আরেক জনের দিকে তেড়ে আসেন।

জানা গেছে, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার সময় ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে আসা নারকেলের সলা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার (রোজী) তার নিজ গৃহের জন্য নিয়ে আসেন। এতে ক্ষুব্ধ হন একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা জোসনা বেগম। এজন্য বৃহস্পতিবার তিনি এবার নারকেলের সলা নিজে নিতে চাইলে দুই জনের ভিতর বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে এক পর্যায়ে মারামারি ঘটনা ঘটে এবং তারা ছাত্র/ছাত্রীদের সামনেই অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। দু’জনই চুলাচুলি করেন। মারামারির একপর্যায়ে স্কুল কমিটির সদস্য ইউসূফ সরদার তাদের থামাতে সমর্থ হন। এলাকার ইউ পি সদস্য জাহাঙ্গীর খান বলেন, তারা স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের সামনে যে ভাষা ব্যক্ত করেছেন তা মূর্খ মানুষও করে না।

এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগন বলেন, স্কুলের শিক্ষিাকাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা ভাল কিছু শিখবে আর তারাই যদি সামান্য সলা নিয়ে ঝগড়া করে তাহলে শিক্ষার মান আজ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।

স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলছে, ম্যাডামরা আমাদের চারু-কারু পরীক্ষার জন্য সলা নিয়ে আসতে বলেন আমরা সলা অনেক কষ্ট করে নিয়ে আসি আর তারা তা স্কুলের কাজে ব্যাবহার না করে নিজেদের কাজে ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ম্যাডামরা আমাদের বলে যদি তোরা সলা না নিয়ে আসিস তাহলে তোদের পরীক্ষায় নাম্বার কম দেব। তাই বর্ষার মধ্যেও কষ্ট করে এবং ঘরের ঝাড়– থেকে সলা খুলে নিয়ে স্কুলে নিয়ে আসি। কিছু শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, রোজী ম্যাডাম আমাদের খালি মারেন। আমাদেরকে ভাল কইরা বুঝাইয়া পড়াইতে পারে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনীল চন্দ্র এবং ঐ দুই শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।