বরিশালের অনিক হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী সালেক গ্রেপ্তার

দিবালোকে নৃশংসভাবে ছাত্রদল কর্মী কলেজ ছাত্র অনিককে কুপিয়ে হত্যা’র আলোচিত মামলার আসামী সন্ত্রাসী সালেক ওরফে নাক কাটা সালেক(৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে রায় রোডে অপরাধ জগতের সদস্যদের নিয়ে আড্ডারত অবস্থায় বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহেদুজ্জামান শাহেদ জানান, সালেক অনিক হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। সে দীর্ঘ দিন পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানার গারদখানায় রাখা হয়েছে। অনিকের ঘনিষ্ট বন্ধু মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক রাফসান আহমেদ জিতু শীর্ষ নিউজকে বলেন তৎকালীন সময়ে সাহেবের হাট এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে আমি বের হওয়ার পর সেল ফোন অন করলে ক্রসফায়ারে নিহত লেডি শাহীন উদ্ধ্যাত আচরনের সুরে ফোনে বলেছিল দেখ জিতু তোর ভাইরে তো শেষ করে দিলাম। একই ফোনে শাসক দলের এক ছাত্রনেতাও একইভাবে কথা বলে উল্লাস করেছিল তখন। জিতুর ভাষ্য অনিকের ঘাতকদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হউক এটাই জনমনের কাম্য।

জানা গেছে, নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেনের পুত্র সজিবুল ইসলাম  অনিক। সে সরকারী বরিশাল কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত ছিল। ২০১০ সালের ২২ ফেব্রয়ারী বেলা ১১টার দিকে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী কালিবাড়ি রোডের ফেয়ার হেলথ ক্লিনিকের সামনের রোডে অনিককে কুপিয়ে হত্যা করে উল্লাস করতে করতে স্থান ত্যাগ করে। ঘটনার সময় পার্শ্ববর্তী স্বারস্বতী বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। ছিল পুলিশ । ঘটনার দিন কলেজ ছাত্র অনিকের পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ১৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে একজন অনেক আগেই র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে। তার নাম শাহিন ওরফে লেডি শাহীন। চার্জশীটভুক্ত অপর আসামীরা হলো কাউনিয়ার চ্যাগা সুমন, ব্রাঞ্চ রোডের ফটিক রুবেল, কালু শাহ সড়কের বিল্লাল, বাকলার মোর এলাকার আল আমিন ওরফে ডিস্ক আল আমিন , বেলতলার বাপ্পী, কাশিপুরের লিখন। অভিযোগ উঠে মামলার চার্জশীট থেকে বাদ পড়ে যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভাটিখানার তারিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক তৌহিদুর রহমান ছাবিদ,গোড়াচাঁদ দাস রোডে ডাঃ সুমন, নাজিরেরপুলের জিন্নাহ, কাউনিয়া ব্যাঞ্চ রোডের তেল সাগর।