১২ দিন পর হত্যা মামলা দায়ের | পুত্রকে হত্যার অভিযোগে বিধবা মায়ের মামলা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের দিনমজুর টুটুল খানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার অভিযোগ এনে ঘটনার ১২দিন পর বুধবার (২৮ এপ্রিল) তার বিধবা মা ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহার ও বিধবা ফাতেমা বেগমের অভিযোগে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক আলী খানের পুত্র ও এক সন্তানের জনক টুটুল খান (২৫)। দীর্ঘদিন থেকে সে পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার মধ্যশিহিপাশা গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার গরুর ফার্মে দিনমজুরের কাজ করতো। সেখান থেকে গত ডিসেম্বর মাসে রহস্যজনক ভাবে টুটুল নিখোঁজ হয়। সে সময় তার বিধবা মা ফাতেমা বেগম গৌরনদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছিলেন।

ফাতেমা বেগম আরো জানান, রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পর টুটুলের সন্ধ্যান মেলে এবং সে সময় তিনি জানতে পারেন আলাউদ্দিন মোল্লার কন্যা সুমি খানমের সাথে জোড়পূর্বক টুটুলের দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া হয়েছে। বিয়ের সময় সুমীর বোনজামাতা ওয়াসিম সন্যামাত প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি সে দেশে ফিরে টুটুল ও সুমীর বিয়েতে বাঁধ সাধেন। এক পর্যায়ে টুটুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সেমতে গত ১৭ এপ্রিল পরিকল্পিত ভাবে ওয়াসিম ও তার লোকজনে টুটুলের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে এলাকায় আত্মহত্যার কথা রটিয়ে দেয়।
ফাতেমা বেগম আরো অভিযোগ করেন, হত্যকারীরা তার পুত্র টুটুলকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কত্যর্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করার সাথে সাথে তারা টুটুলের লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করে।

ঘটনার ১২দিন পর গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) নিহত টুটুলের বিধবা মা ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে ওয়াসিম সন্যামাত, সুমি বেগম, আলাউদ্দিন মোল্লা, সাহেদা বেগম ও রুমি বেগমকে আসামি করে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক শরীফ সানাউল হক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে নির্দেশ দেন।