ইমামকে নির্যাতন করল প্রভাবশালী এক আ’লীগ কর্মী

বিল্ববাড়ি এলাকায় এক মসজিদের ইমামকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কনষ্টেবল ও প্রভাবশালী আ’লীগ কর্মী আনোয়ার হোসেন (৫০)। শুক্রবার রাত ১১ টায় মুসল্লীরা নির্যাতনের শিকার ইমামকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি  করেছেন। আহত ইমাম বরিশালের একটি ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র। তার নাম শহিদুল ইসলাম (২৪)।

জানা গেছে, বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনশী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের পুত্র শহিদুল ইসলাম। সে বরিশাল শহরতলীর বাঘিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল ২ বর্ষের ছাত্র। আট মাস আগে বিল্ববাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে দ্বায়িত্ব নেন শহিদুল। থাকছেন মসজিদের অভ্যন্তরে বারান্দায় সিড়ির নিচে। সেখানে তিনি একধরনের সুনামও অর্জন করেছেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নিজ জামা কাপড় ধৌত করছিলেন মসজিদ সংলগ্ন পুকুর ঘাটে। জামা-কাপড় ধৌত করার আগে থাকার কক্ষে রেখেছিলেন ৫ টাকার দুইটি কয়েন। ওই সময়ে মসজিদের বারান্দায় ছিলেন মসজিদ কমিটির সহসভাপতি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন। কাপড় ধৌত শেষে কয়েন দেখতে না পেয়ে আনোয়ার হোসেনকে মৃদ্যু হাসি দিয়ে জানান দেন যে, ভাই এখানে দু’টি কয়েন রেখেছিলাম একটি পেয়েছি আরেকটি দেখছি না। ইমামের এই কথায় মাইন্ড করেন আনোয়ার হোসেন। এরকম বাক্যটি মেনে নিতে না পারায় ইমামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অবঃ পুলিশ কনস্টেবল। তাকে প্রথমে পেটে লাথি মেরে এলোপাথারীভাবে কুলি ঘুষি মারতে থাকে। এরপর দৌড়ে মসজিদের ঝাড়– নিয়ে এসে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ঘটনার সময় পাশে কয়েক মুসল্লি থাকলেও তারা ছিল নিরব। মারধরের শিকার শেষে লজ্জায় ইমাম নিজের কক্ষে চলে যান। ঘটনাটি মসজিদ কমিটি’র সভাপতি জেনে মিমাংসা করে দেয়। হাতে হাতে মিলিয়ে দেয়া হয় তাদেরকে। শারিরীক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পারায় রাতে তাকে (ইমামকে) ভর্তি করা হাসপাতালে।

এহেন ঘটনাটি মুসল্লীরাও মনে প্রানে মেনে নিতে পারছেন না। তবে আধিপত্য বিস্তারে আনোয়ার নামের ব্যক্তি অনেকটা আগ্রাসী মনোভাবের হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলাম বলেন, টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি উনাকে জানানো কি অপরাধ। জানানোর পর অন্যায়ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল এসে পরিদর্শন করে গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শহিদুল আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।