ঈদ বাজার – গৌরনদীর দর্জি পাড়ার শ্রমিকেরা এখন মহাব্যস্ত

সময় নেই। এখানে এখন দিনরাত একাকার। সেলাই কারিগরদের রাতের ঘুম বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বত্র এখন ঈদের আমেজ। ঈদে পছন্দের পোশাক তৈরি করিয়ে নিতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন দর্জির দোকানগুলোতে। আর তাই সকাল থেকে সারা রাত ব্যস্ত দর্জি পাড়ার শ্রমিকেরা। তবে দোকানগুলোতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ভিড় লক্ষনীয়। রোজা শুরুর আগ থেকেই দোকানগুলোতে ঈদের পোশাকের অর্ডার আসা শুরু করেছে। অধিকাংশ টেইলারিং দোকানে ইতোমধ্যে অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে।

গৌরনদীর থানার মোড়ের ক্লাসিক টেইলার্সের মালিক বঙ্কিম পাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর আমাদের দোকানে কাজের অর্ডার আসছে বেশি। গড়ে প্রতিদিন ১০/১৫ হাজার টাকার কাজের অর্ডার আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও এবছর সঠিক ভাবে বিদ্যুতের সরবরাহ করায় একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, কলকাতা ও ঢাকার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞ মাষ্টার দ্বারা তিনি সকল প্রকার পোশাক তৈরি করে থাকেন। তাদের এখানে সিল্কের স্যালোয়ার-কামিজ বানাতে মজুরি নেয়া হয় ২০০ টাকা, সুতির স্যালোয়ার-কামিজ বানাতে লাগে ১৫০ টাকা। এছাড়া ডিজাইনে বেশি কারুকাজ থাকলে দাম বেড়ে যায়। তবে গত বছরের চেয়ে এবার মজুরি ৫০ টাকা করে বেশি। আগামি দু’দিন পর তিনি অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিবেন। তার দোকানে ৮ জন সেলাইর কারিগর ও ৩ জন কাটিং মাষ্টার কাজ করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উপজেলার টরকী বন্দরে বেনজু টেইলারের মাস্টার সঞ্জয় মন্ডল জানান, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের ব্যবসা অনেকটা জমজমাট। ফলে অর্ডার নিয়ে তা সময়মতো ডেলিভেরি দেয়া যাচ্ছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দর্জি দোকানগুলোতেও এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। বাটাজোরের সানমুন টেইলার্সে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা সাধারণের প্রচন্ড ভিড়। এখানে সুতি স্যালোয়ার-কামিজের মজুরি ১৬০ টাকা, তবে সিল্কের স্যালোয়ার-কামিজের মজুরি নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। ছেলেদের ফতুয়ার মজুরি ১৫০ টাকা। স্থানীয় মাহিলাড়া কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, দর্জির দোকানগুলো স্যালোয়ার-কামিজের অর্ডার নিতে চাইলেও ব্লাউজের অর্ডার একেবারেই নিচ্ছে না। কারন ব্লাউজ তৈরিতে নাকি পরিশ্রম বেশি হয়।