খালের গর্ভে জনগুরুত্বপূর্ণ গৌরনদীর উপজেলা-আশোকাঠী সড়ক

উপজেলা সদর থেকে আশোকাঠী পর্যন্ত ‘উপজেলা-আশোকাঠী’ সড়কটি সংস্কারের গৌরনদী আশোকাঠি সড়কঅভাবে এখন খালের গর্ভে বিলিন হতে চলেছে। কয়েকদিনের অতিবর্ষণে এ সড়কের অধিকাংশ স্থানের মাটি ধ্বসে পাশ্ববর্তী খরস্রোত খালের গর্ভে বিলিন হয়েছে। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে রিকসা-ভ্যানসহ অন্যান্য ছোট-ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারনে প্রতিনিয়ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য এখন কাঠ দিয়ে চালা বানিয়ে দিয়েছেন। অথচ গত ১৫ মাস পূর্বে এ সড়কটি কার্পেটিংয়ের জন্য টেন্ডার হওয়া সত্বেও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদার কাজটি সম্পন্ন করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে স্থানীয় ভুক্তভোগী ও উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতিপ্রাচীণতম এ সড়ক দিয়ে স্বল্প সময়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার জনগন উপজেলা ও পৌর সদর, থানা, গৌরনদী বন্দর, পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৌরনদী গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজ, আশোকাঠী বাজার, গৌরনদী হাসপাতাল, সরকারি গৌরনদী কলেজ, কিন্ডার গার্টেনসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও ভ্রমন পিপাসু দশনার্থীদের প্রয়াত জমিদার মোহন লাল সাহার স্মৃতি বিজরিত বাড়িতে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হচ্ছে এটি। দুর-দুরন্তের দর্শনার্থীদের এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। এলাকাবাসির প্রাণের দাবি ছিলো জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি উন্নয়ন করা। সে লক্ষে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে আসছিলেন। সবশেষে বর্তমান মহাজোট সরকারের সময় গত ২০১০ সনের জুন মাসে সড়কটি কার্পেটিংয়ের জন্য ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহবান করা হয়। সকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটির টেন্ডার হওয়া সত্বেও গত ১৫ মাসেও ঠিকাদার সড়ক উন্নয়ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেননি।

গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুভোর্গের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটি কার্পেটিংয়ের জন্য “বরিশাল প্রজেক্ট”র মাধ্যমে ১৫ মাস পূর্বে দরপত্র আহবান করা হয়েছিলো। পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যেই ওই প্রজেক্টের বরাদ্দকৃত অর্থ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, উপজেলা-আশোকাঠী সড়ক উন্নয়ন স্থায়ী করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন সড়কের পাশ্ববর্তী খরস্রোত খালের পার্শ্বে দীর্ঘস্থায়ী পাইলিংয়ের ব্যবস্থা করা। যা ওই দরপত্রের সিডিউলের মধ্যে ছিলো না। পাইলিং ছাড়া কাজ করলে ঠিকাদাররা কোনদিনেও ওই কাজ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।