ছাত্রদল ক্যাডার জিতু এখন মরনাতঙ্কে……

ছাত্রদল ক্যাডার জিতুছাত্রদল ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ২০ বছর বয়সী এই তরুন নবগঠিত মহানগর ছাত্রদলে যুগ্ন আহবায়ক পদে কোআপ্ট হওয়া জিতুকে নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। এক সময় প্রতিপক্ষকে কোপাতে একবারের বেশী ২য় বার ভাবত না যে জিতু সে এবার নিজেই শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেতে কোতয়ালি মডেল থানায় সাহায্য নিতে গেলে পুলিশ তার আভিযোগ গ্রহন করেনি। গতকাল দুপুরে তার পক্ষে ১৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন এই অভিযোগ দায়ের করতে কোতয়ালি থানায় যান। জিতু জানিয়েছেন, ভাই আমার কথা লেখেন দয়া করে একটু লিখেন। সব সময়ইতো আমার দূর্নাম লিখেছেন। ভাই ওরা আমাকে বাচতে দেবে না। ওরা কারা প্রশ্নের জবাবে জিতু জানান, মহানগর ছাত্রদল ও যুব দলের কর্মী আবুল কালাম শাহীন, সৈয়দ আকবর, জিয়া উদ্দিন সিকদার, মনোয়ার হোসেন জিপু, আরিফুর রহমান মুন্না, বিসিক মামুন, ফিরোজ খান কালু, রোজাউল ইসলাম রেজা।

জিতু আরও বলে, আমি আহসান হাবিব কামালের রাজনীতি করি বিধায় সরোয়ার ভক্তদের টার্গেট আমি। ১মাস আগে কিডনি কেয়ার হাসপাতালে দাদু (এমপি সরোয়ার) তার চিকিৎসার কজে এসেছিলেন। তার সাথে থাকা বিএনপির ছোট শাহীন, রেজাউল, মুন্না, সজিব ও জিয়া সহ কয়েকজন কালিবাড়ি রোডের মুখের সামনে আমাদের দেখে আমাদের উপর হামলা চালায়। সে সময় আমরা দৌড়ে পালাই। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে ছাত্রদলের আধিপত্যের জের ধরে জিতুর সহযোগী রুম্নান ও কদমকে নগরীর গোরস্থান রোডে কুপিয়ে আহত করেছিল সরোয়ারের লোকজন। এ ঘটনায় সে সময় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

জিতু নিজেকে বরিশাল কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে জানান, ভাই আমি গুন্ডামি মাস্তানি আর করতে চাইনা। আমাকে সবাই ব্যাবহার করে। ফলে প্রশাষনের কাছে খারাপ হই আমি। কিন্তু পেছনে যারা কলকব্জা নারেন তারা সব সময়ই ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকে। অনেক করেছি ভাই আর না। আমাদের জীবনের কি কোন দাম নাই? ও দিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কাছে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা সবাই প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন। তারা বলেন, জিতু একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। বরং জিতু কামাল পন্থিদের পক্ষ হয়ে একাধিক বার আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এমন কোন অভিযোগ এখন কেউ নিয়ে আসেন নি।