ধীর গতিতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক সংস্কার কাজ

করার কথা থাকলেও কাজ চলছে ধীর গতিতে। কোন মতে জোড়াতালি দিয়ে মন্থরগতিতে চালানো হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কের সংস্কার কাজ। এতে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক ভাবে ঈদের পূর্বে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয়রা যোগাযোগমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, জনগুরুতপূর্ণ এ মহাসড়কটির বরিশাল শহর থেকে গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসটার্মিনাল পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটারের ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের সংস্কারের জন্য ৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। বোল্ডার ভাঙ্গা পাথর দিয়ে মহাসড়কের সংস্কার কাজ করার কথা থাকলেও মাটিমাখা সিংঙ্গেল্স (মরাপাথর) দিয়ে কোন একমতে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট নিন্মমানের কাঁচামাল নিয়ে ঠিকাদারের লোকজন কাজ করতে আসলে স্থানীয়রা কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী কাজ করার কথা বলে পরেরদিন (২২ আগস্ট) কাজটি শুরু করা হলেও আগের মতোই নিন্মমানের কাঁচামাল দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মহাসড়কের কাঁদা মাটির মধ্যেই মাটি মাখা ভিট বালি দিয়ে সিঙ্গেল্স পাথর বিছিয়ে হাল্কা বিটুমিন ছিটিয়ে পূর্ণরায় ভিট বালি দিয়ে গর্ত ঢাকা হচ্ছে। যা সর্বচ্চ দশদিনের মধ্যেই আবার উঠে যাওয়ার আংশকা রয়েছে। ভিট বালির কারনে মহাসড়কে এখন ধুলের সৃষ্টি হয়েছে। এ রুটের বাস চালক, মোঃ কালু ঘরামী জানান, সংস্কারের কাজ চলছে মন্থর গতিতে। গত দু’দিন ধরে একখানেই ধীরগতিতে কাজ করতে দেখা গেছে সংস্কার কাজের শ্রমিকদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামি এক মাসেও ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে মহাসড়ক সংস্কারের তদারকির কাজে নিয়োজিত বরিশাল সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের ১৭০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক সংস্কার কাজ করে যাচ্ছেন। ঈদের আগেই এ কাজ সম্পন্ন হবে। নিন্মমানের কাঁচামাল দিয়ে মহাসড়কের সংস্কার কাজ করার ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে মহাসড়কের সংস্কার কাজটি ঠিকাদারের বাড়তি কাজ। পুরো কাজ শুরু হবে ঈদের পরে। ঈদ উপলক্ষে তড়িঘড়ি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঠিকাদারকে এ কাজ করতে হচ্ছে। ডিবিএসটি দিয়ে পুরো কাজ সম্পন্ন করতে ছয়মাস সময় লাগবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।