বাবুগঞ্জে চেয়ারম্যান বনাম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ॥ দ্বন্দ্ব চরমে

উম্মে রুম্মান, বরিশাল ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের গাড়ি চাওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। গতকাল রোববার উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ খান উপজেলা পরিষদে আসলে প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেওয়ায় দিনভর পুলিশ মোতায়েন ছিল উপজেলা পরিষদ চত্বরে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরনের হস্তক্ষেপে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও উভয় গ্র“পের সমর্থকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানাগেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ খান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব’র সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব কলহ চলে আসছে। সম্প্রতি ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব জরুরি কাজে উপজেলা পরিষদের গাড়িটি নিয়ে ঢাকা রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে মাওয়া ফেরিঘাট থেকে গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন করে গাড়িটি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ যাবত উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে অফিসে আসেননি উপজেলা চেয়ারম্যান। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ খান তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসবেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা চত্বরে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও বরিশাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয় উপজেলা চত্বরে। এ সময় পুরো উপজেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে বরিশালের সিটি মেয়র এডঃ শওকত হোসেন হিরনের হস্তক্ষেপে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব দুপুর দেড়টায় উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ খান অফিসে আসেন।

এ ব্যাপারে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব সাংবাদিকদের জানান,উপজেলা পরিষদের দেওয়া গাড়িকে চেয়ারম্যান নিজের সম্পদ মনে করে পারিবারিক কাজে ব্যাবহার করেন এবং গত কয়েকদিন যাবত চেয়ারম্যানকে পরিষদে আসলে প্রতিরোধ করা হবে এ সংবাদ তিনি গুজব বলে মন্তব্যে করেন। অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মেদ খান জানান,ভাইস চেয়ারম্যানকে ঢাকা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল কিš‘ প্রাকৃতীক দুর্যোগের কারণে গাড়িটি ফেরিতে আটকা পরে যায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান গাড়ি ফেরিতে রেখে ঢাকা চলে যায়।  পরে গাড়িটি ঢাকা না গিয়ে বরিশালে ফিরিয়ে আনা হলে ওই দিন রাতে ভাইস চেয়ারম্যান ফোনে তাকে উপজেলা পরিষদে আসলে প্রতিরোধ করা হবে বলে হুমকি দেন।