যেভাবে আপনার শিশুকে খাবার খেতে শেখাবেন

গৌরনদী ডটকমঃ ছোটবেলা থেকে নিজে খাওয়ানো শেখাতে হয় শিশুকে! ধীরে ধীরে খাদ্যাভ্যাস করান। এতে শিশু শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে। কিভাবে শিশুর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করবেন তার কিছু পরামর্শ দেয়া হল-

– শিশুর জন্মের পর বুকের দুধ খাওয়াতে রুটিন মেনে চলতে হবে। নবজাতককে তিন-চার ঘণ্টা পর পর দুধ দিন।

– শিশু খেতে না চাইলে তাকে জোর করে না খাইয়ে কিছুক্ষণ পর খেতে দিন।

– শিশুর মূল খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হয় ছয় মাস বয়স থেকে, যখন সে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার খেতে শুরু করে। শিশুকে দৈনিক চার-পাঁচবার অল্প অল্প করে পরিপূরক খাবার খেতে দিন।

– শিশুর পরিপূরক খাবার অবশ্যই সুষম হতে হবে। এ জন্য সবজি, ডাল, মাছ বা মুরগির মাংস এবং তেল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া শিশুকে ডিম, সুজি, পাশাপাশি বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

– শিশুর খাবারের পরিমাণ ও সময় নির্দিষ্ট করতে হবে। কিছুদিন একই সময়ে খাওয়ালে শিশু এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

– দুই বছর বয়স থেকে শিশুকে নিজ হাতে খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। প্রথম প্রথম নষ্ট করলেও একসময় সে নিজেই খাওয়া শিখবে।

– দুই বছর পর্যন্ত শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ঘটে, তাই এ সময় শিশুকে পর্যাপ্ত প্রোটিনজাতীয় খাবার দিন।

– দুই বছর বয়স থেকে তিন বেলা মূল খাবারের পাশাপাশি সকাল ও দুপুরে এবং বিকেলে নাশতা হিসেবে মৌসুমি ফল, দুধ, পুডিং ইত্যাদি খেতে দেওয়া যেতে পারে।

– শিশুর খাবার এমনভাবে পরিবেশন করতে হবে, যাতে সে সহজে খেতে পারে। মাংস ছোট ছোট টুকরো করে দিতে হবে। ফলও কেটে ছোট টুকরো করে দিতে হবে।

– শিশুর খাবার থালা, বাটি, চামচ তার উপযোগী অর্থাৎ রঙিন ও আকারে ছোট হলে শিশু খেতে আকৃষ্ট হবে।

– শিশুর খাওয়ার সময় তাকে গল্প বলে, ছড়া বলে খাওয়াতে আকৃষ্ট করতে হবে।

– পরিবারের সবার সঙ্গে শিশুকে খেতে দিতে হবে। এতে অন্যদের দেখে সে খাওয়া শিখবে এবং তার খাদ্যাভ্যাস তৈরি হবে।

– শিশুকে বাইরের খাবার, যেমন- চকোলেট, চিপস, কোল্ড ড্রিংকস দেওয়া যাবে না। এগুলোতে অভ্যচ্চ হয়ে গেলে শিশু ঘরের খাবার খেতে চাইবে না, এগুলো স্বাস্থ্যের প্রতি ঝুকি।

– পরিবারে একাধিক শিশু থাকলে তাদের একসঙ্গে খেতে দিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উৎসাহী হয়ে তারা খাওয়া শিখবে।

শিশুর সু-স্বাস্থ্যের দ্বায়িত্ব আপনারই তাই সচেতনা জরুরী।