বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে সংস্কারের ১৫ দিনের মধ্যে ফের খানাখন্দ

নিজস্ব সংবাদাতাঃ নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে সংস্কারের ১৫ দিনের মধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে আবারো খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি বেহাল দশায় পরে রয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যহৃত হচ্ছে।

সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে ও যোগাযোগ মন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা কালকিনিতে যোগাযোগের একমাত্র ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কটি পূর্ণরায় সঠিক ভাবে সংস্কারের জন্য ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বরিশাল থেকে গৌরনদীর প্রবেশদ্বার ভূরঘাটা বাসটার্মিনাল পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটারের ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের সংস্কারের জন্য ৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ঈদের পূর্বে ঠিকাদার ইসমাইল হোসেনের লোকজনে (শ্রমিকেরা) তড়িঘড়ি করে মহাসড়কের মাঝে মধ্যের বড় বড় গর্তগুলো কোন একমতে সংস্কার করেন। সংস্কারের শুরুতেই কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ঈদের পরবর্তী সময়ে (গত ১৫ দিন পূর্বে) ঠিকাদার ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে নামেমাত্র সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। সংস্কারের ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণরায় (বর্তমানে) ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি পূর্বের ন্যায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকার পিচ (কার্পেটিং) উঠে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংস্কার কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত চারদিনের ভারী বর্ষণে ব্যস্ততম মহাসড়কের এ বেহাল দশা হয়েছে। বর্তমানে সড়কের কিছু কিছু স্থানের কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণেই এমনটি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখনো মহাসড়ক সংস্কারের ডিবিএসটির কাজ শুরু করা হয়নি। ভারত থেকে উন্নতমানের পাথর এনে আগামি মাসের প্রথমার্ধে ডিবিএসটির কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।