বরিশালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৬ হাজার আবেদনপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥  প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারী বরিশালের ৬ সহস্রাধিক প্রার্থী জটিলতায় পড়েছেন। তাদের আবেদনপত্র সরকারী ডাকের পরিবর্তে বেসরকারী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রেরন করায় ওই আবেদন গ্রহণ করছেন না প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা। অথচ সংবাদপত্রে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনপত্র ডাকযোগে প্রেরন করতে বলা হলেও সরকারী ডাকের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের এ সিদ্ধান্তের কারনে ৬ সহস্রাধিক আবেদনপত্রকারী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আবেদনপত্র আহবান করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পত্রিকায় প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপনে সরাসরি আবেদনপত্র গ্রহনযোগ্য নয়, ডাকযোগে পাঠাতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সেখানে সরকারি ডাকবিভাগের মাধ্যমে ডাক প্রেরণ করতে হবে এমন কোন কথা উল্লেখ ছিল না। ফলে বরিশালের ৬সহস্রাধিক প্রার্থী বেসরকারি প্রাতিষ্ঠান সুন্দরবন, কন্টিনেন্টাল ও জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠান। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ওই আবেদনপত্রগুলো গ্রহন করছেন না। তারা কারণ হিসাবে সরকারি ডাকযোগে আবেদনপত্র না পাঠানোর অজুহাত দেখাচ্ছেন। এদিকে আবেদনের শেষ সময় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই প্রার্থীরা। গৌরনদী উপজেলার জুয়েল শিকদার নামে এক আবেদনকারী জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কেবল ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে লেখা ছিলো। কিন্তু সেখানে সরকারি না বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তা লেখা ছিলো না। এদিকে আবেদনপত্র প্রেরণের সময়ও প্রায় শেষ হয়ে আসায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ৬ সহস্রাধিক আবেদনকারী। বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম ফারুক জানান, আবেদন পাঠানোর ঠিকানায় কেবল ডাকযোগে পাঠাতে হবে উলে¬খ থাকায় এ সমস্যা হয়েছে। তবে যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি লেখা থাকতো তাহলে এ সমস্যা হতো না বলে তিনি জানান।