ইউনেস্কো কর্তৃক এওয়ার্ড পেলেন গবেষক ড. আবু ইউসুফ

মুহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন, শাবিঃ নবায়নযোগ্য শক্তি-বায়ো গ্যাস, বায়ো ডিজেল ও বায়ো বিদ্যুৎ নিয়ে গবেষণারত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশিষ্ট গবেষক ড. আবু ইউসুফ ইউনেস্কো এওয়ার্ড লাভ করেন। সম্প্রতি শতাধিক বিজ্ঞানীর উপস্থিতিতে এ এওয়ার্ড গ্রহণ করেন তিনি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ‘ক্লিন এনার্জি এন্ড টেকনোলজি-২০১১’ কনফারেন্সে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী গবেষকদের হাতে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

‘এনার্জি ফর সাস্টটেনাবল ভেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া’ শীর্ষক কোর্সে সফল উত্তীর্ণ হওয়ায় ইউনেস্কো ড. আবু ইউসুফকে এওয়ার্ড প্রদান করে। বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৫০ জন গবেষক এ কোর্সে রেজিস্ট্রেশন করে এবং এদের মধ্য থেকে ৭ জনকে ইউনেস্কো এওয়ার্ড দেয়া হয়। সম্মেলনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে গবেষণা করেন এমন বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ তাদের নিজ নিজ দেশের জ্বালানী চাহিদা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎপাদন বিষয়ে গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন। জ্বালানী বিজ্ঞানীগণ এ বিষয়ে বিশ্ববাসীকে আশস্ত করেন, জাপান নতুন করে আর কোন নিউক্লিয়ার চুল্লি স্থাপন করবে না এবং ৪০ বছরের পুরনো চুল্লিগুলো বন্ধ করে দিবে। ফলে জাপান বাতাস, পানি ও বায়োমাস থেকে শক্তি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। এ সম্মেলনে জাপান ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, ইন্ডিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের গবেষকগণ গবেষিত বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দেশগুলোর গবেষকদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরিরও সিন্ধান্ত নেয়া হয় এ সম্মেলনে। নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে আরো কার্যকর গবেষণা চালানোর জন্য সবার প্রতি আহবান জানানো হয়। কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের গবেষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে দেশের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচানাও হয়। মালয়েশিয়াতে অধ্যয়নরত অনেক বাংলাদেশী গবেষকও এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

ড. আবু ইউসুফ এওয়ার্ড  নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পর তার অভিব্যক্তিতে বলেন, এ পুরস্কার শুধু আমার একার নয়, বিশ্ববিদ্যালয় তথা পুরো বাংলাদেশের। এ পুরষ্কার আমাদের সবাইকে আরো কার্যকর গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করবে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের গবেষকগণও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারে এটিই আমার কাছে মনে হয়েছে। তিনি তার গবেষণার কার্যক্রম অব্যাহত রেখে দেশের উন্নয়নে নিজের সাধ্যমত অবদান রাখতে চান। আর আন্তর্জাতিক মানের পুরষ্কার প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ড. আবু ইউসুফের মতো আরো অনেক গবেষক বেরিয়ে আসবেÑনতুন নতুন গবেষণা নিয়ে। তাদের কৃতিত্বে বাংলাদেশের গৌরব সারা বিশ্বে পৌঁছাবে এমনটিই প্রত্যাশা সবার।