গৌরনদীতে ধর্ষনের মূল্য ৫০ হাজার টাকা

ধর্ষিতার মা জাহেদা বেগম অভিযোগ করেন, স্থানীয় লোকজন তার প্রতিবন্ধী কন্যাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার পর তিনি তাদের কাছে ধর্ষণের কথা শোনেন। একপর্যায়ে তারা মামলা করতে থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পথিমধ্যে ধর্ষক সফিকের বড় ভাই জলিল বাঘা ও মেঝ ভাই খলিলুর রহমান বাঘা তাদের থানায় যেতে বাঁধা দেয়। ওইদিন রাতেই নলচিড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাকিম খান, নলচিড়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন মকবুল হাওলাদারসহ ৭ জন গ্রাম্য মাতুব্বর শালিস বৈঠকে বসেন। ধর্ষকের স্বীকারোক্তির পর রাত ১ টায় ধর্ষনের মূল্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারন করে জরিমানা করা হয়। প্রহসনমূলক সালিশ বৈঠকের তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও রায় কার্যকর না করে সালিশরা নানা তালবাহানা শুরু করেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে কিশোরী ধর্ষিত হওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন, গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম। তিনি ধর্ষিতার পরিবারকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়ার পর ওইদিন বিকেলে ধর্ষিতার পিতা ইসমাইল খলিফা বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য জোড় প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।