ঝালকাঠিতে দু’ঘন্টাব্যাপী খুলনা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ গাউছেল আজম গাউছে পাক দরবার শরীফের ১৯তম বার্ষিক ওরশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দু’ঘন্টাব্যাপী খুলনা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় দু’পাড়ে শ’শ যাত্রীবাহি গাড়ি,এম্বুলেন্স,ট্টাক আটকা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ,র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। অবরোধের কবল থেকে মুক্তি পায়নি রোগি বহনকারী এম্বুলেন্সও। ঝালকাঠির এনডিসি মো: আল আমিন ও সদর থানার ওসি মো: আবুল খায়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

জানাগেছে, পশ্চিম ঝালকাঠিতে ১৯৮৬ সাল থেকে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:) অনুসারীরা প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বার্ষিক সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেয়। নেছারাবাদের সংগঠন আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদ ওরশ বন্ধের দাবীতে আন্দোলনে মাঠে নামে। নেছারাবাদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শত শত শিক্ষার্থী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় দু’পাশের যাত্রীবহনকারী গাড়ী আটকা পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। ঘটনাস্থলে ঝালকাঠি যাত্রী কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর রাস্তা অবরোধ করে রোগিবহনকারী এ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি আটকে রেখে অবরোধ করায় উদ্ধেগ প্রকাশ করে ধর্ম নিয়ে এ ধরনের রাজনীতির পথ পরিহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান। গাউছেল আজম দরবার শরীফের ওরশ ও বন্ধের দাবীতে আন্দোলনকারীদের সাথে বুধবার বিকেলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে  উভয়পক্ষ উপস্থিত হলেও সমঝোতা না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে পাশ্ববর্তী নেছারাবাদ দরবার শরীফে অনুসারী ছাত্ররা একত্রিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশের বাঁধায় তারা ব্রীজের ওপর অবস্থান নেয়। এসময় উভয় পাড়ের গাড়িগুলো আটকা পড়ে। নেছারাবাদ দাবী করে আসছে গাউছেল আজম দরবারে মদ,গাজা সেবন করে নাচ-গান করছে যা ধর্মীয় রেওয়াজ পরিপন্থী।

অন্যদিকে দরবার কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:) অনুসারী। এখানে কোন ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়না। এলাকাবাসি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এরা এখানে ওরশ করে আসছে, তবে তারা অসামাজিক কোন কর্মকান্ড আমাদের চোখে পড়ে নাই। দরবারের খাদেম মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি: ইসমাইল হোসেন জানান, যারা ধর্মের নামে এতকিছু করছে তারা ধর্ম নিয়ে বানিজ্য করছে। কিন্তু আমরা ধর্মের নামে আইন ও ইসলাম বিরোধি কিছুই করছিনা। তার পরেও একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কিভাবে তারা এত স্পর্ধা পাচ্ছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছেন।