খালেদা জিয়ার জনসভার প্রচার কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ মেয়র খোকার

খোন্দকার কাওছার হোসেন : সব টেলিভিশন চ্যানেলকে আজকের জনসভা সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক ও ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা অভিযোগ করেছেন, সরকার জনসভার জন্য প্রচার চালানোর সুযোগ দেয়নি, মাইকিংয়েরও অনুমতি দেয়নি মেট্রোপলিটন পুলিশ। পোস্টার লাগানো ও লিফলেট বিতরণে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বাধা দিয়েছে। অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

খোকা বলেন, সরকার আমাদের পল্টন ময়দানে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি। বিএনপির মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের জনসভা ঢাকা মহানগরীতে যেখানে সেখানে করা সম্ভব নয়। পল্টন ময়দানে জনসভা করতে না দিয়ে সরকার আমাদের রাজপথে জনসভা করতে বাধ্য করছে। ফলে নগরবাসীকে যানজটের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে। এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

খোকা আরো বলেন, এটি হবে এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ জনসভা। এ জনসভা থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া। পূর্বে নটরডেম কলেজ, পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ, উত্তরে মালিবাগ ও দক্ষিনে পুরানা পল্টন পর্যন্ত এ সভা বিস্তৃত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, জনসভায় বড় কয়েকটি স্কীন লাগানো হবে যাতে এসব স্পট থেকে খালেদা জিয়ার বক্তব্য সবাই দেখতে ও শুনতে পারে। এ পেক্ষাপটে তিনি সবকটি বেসরকারি টেলিভিশণ চ্যানেলকে সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাহলে সভাস্থলে না আসা লোকজন এমনকি গ্রামের মানুষ ঘরে বসে বক্তব্য শুনতে পারতো।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ ও ভীত সন্ত্রস্ত। তাই খালেদা জিয়া দেশের মুক্তির জন্য কী পথ দেখান- তা শুনতে ও জানতে মানুষজন এ জনসভায় যোগ দিতে উদগ্রিব হয়ে আছে। আমরা মনে করি, এ জনসভায় লোক সমাগম হবে এ যাবতকালে সর্ববৃহৎ। দুপুর আড়াইটায় জনসভাটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে খোকা বলেন, এতোবড় জনসভায় নিরাপত্তার দায়িত্বটি সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর বর্তায়। তাই জনসভার নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। এর বাইরে দলীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে।