প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, ছয়গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ও মোল্লাপাড়া গ্রামের অমল সরকারের কন্যা মমতা সরকার ও সুশেন মন্ডলের কন্যা সুপ্রিয়া মন্ডলকে কলেজে যাওয়া আসার পথে দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিলো পাশ্ববর্তী বারহাজার বরিয়ালী গ্রামের খলিল সন্যামাতের পুত্র আশ্রাব সন্যামাত। গত রবিবার কলেজ ছুটির পরে ওই দু’ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে বখাটে আশ্রাফ ও তার সহযোগীরা ছাত্রীদের কু-প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে বখাটেরা তাদের ঝাপটে ধরে নিরজনস্থানে নেয়ার জন্য টানা হেচরা শুরু করে। এ সময় ওই দু’ছাত্রীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা সটকে পরে। এ ঘটনার পর থেকে ওই দু’কলেজ ছাত্রী বখাটেদের ভয়ে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় সমাজসেবক সাত্তার তালুকদারের নেতৃত্বে কলেজ গবনিং সভাপতি লিয়াকত হাওলাদার, ফরহাদ তালুকদারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা বুধবার সন্ধ্যায় বারহাজার বরিয়ালী দাখিল মাদ্রাসায় সালিশ বৈঠকে বসে। বৈঠকে বখাটে যুবক আশ্রাব আলী ভবিষ্যতে আর ছাত্রীদের উত্যক্ত করবে না বলে মুচলেখা দেয়। পরবর্তীতে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাস্তি হিসেবে স্থানীয় আজিজ সন্যামাত বখাটে আশ্রাব আলীকে মাথা ন্যারা করে, জাহিদুল সেরনিয়াবাত ২৫ জুতাপেটা ও অলিল সন্যামাত ২৫ বেত্রাঘাত করে। এ সময় বখাটের চাচা অলিল সন্যামাত আস্তে করে বেত্রাঘাত করায় স্থানীয় সমাজ সেবক মাহাবুব তালুকদার তাকে ৫০ বেত্রাঘাত করেন। শেষে বখাটে আশ্রাব আলীকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানো হয়। ঘটনাটি এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।