আইন প্রতিমন্ত্রী আদালতের ওপরে হস্তক্ষেপ করেছেন -ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া

খোন্দকার কাওছার হোসেন : আইন প্রতিমন্ত্রী আদালতের ওপরে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, মুফতি হান্নানের জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করবে কিনা সেটা আদালতের ব্যাপার। এ বিষয়ে কথা বলে আইন প্রতিমন্ত্রী আদালতের ওপরে হস্তক্ষেপ করেছেন। একদিন এর বিচার হবে।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের নেতা ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ সোহবার উদ্দিন প্রমুখ।

ব্যারিস্টার রফিক বলেন, মুফতি হান্নানকে ২০৩ দিন রিমান্ডে রেখে তার উপর বর্বরোচিত নির্যাতন করে তাকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। মুফতি হান্নান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম যতদিনে না বলেছে ততদিন তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। মুফতি হান্নান লিখিতভাবে আদালতে তার ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। এখন আইনপ্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ডেকে বলছেন ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি প্রত্যাহার করা যায় না।

তিনি বলেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহার হবে কিনা তা আদালত নির্ধারণ করবে। কিন্তু আইনপ্রতিমন্ত্রী একজন কেবিনেট সদস্য হয়ে যখন একথা বলছেন, তখন প্রমাণিত হয় তিনিই মুফতি হান্নানের কাছ থেকে জোড় করে জবানবন্দি আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন। এ কাজ করে তিনি মন্ত্রীর শপথ ভঙ্গ করেছেন, অভিযোগ করে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, আপনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে পাবলিক প্রসিকিউটর হন। আমরা আপনাকে মোকাবেলা করবো।

ব্যারিস্টার রফিক বলেন, তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার করা হয়। বলা হয় তারেক রহমান হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। কিন্তু কোথায় সে টাকা। যতই অপপ্রচার করুক তারেক রহমানের নামে কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারবে না।