নলছিটি ও বাকেরগঞ্জে ৪দিন ধরে বিদ্যুত নেই ॥ অচল গৃহ মিল কারখানা অফিস

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠিঃ টানা চার দিন অন্ধকারে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা, বরিশাল সদরের একাংশ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলাবাসি। এর ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক লাখ লোক। অচল হয়ে পড়ার উপক্রম এখানকার গৃহকর্মসহ কলকারখানা ও অফিসের কাজ।

গত ১ অক্টোবর দুপুরে হঠাৎ দপদপিয়া এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর উপরের ৩৩ হাজার ভোল্টের রিভার ক্রসিং ক্যাবল ছিড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় বরিশালও ঝালকাঠি-নলছিটিসহ অনেক এলাকা গত ৪ দিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি বলে বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে।

ফলে বিদ্যুতের অভাবে এসব এলাকার মিল-কারখানা বন্ধ রয়েছে। ব্যহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা ও সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কার্যক্রম। ওই এলাকার মধ্যে নলছিটি উপজেলার পৌর এলাকা পিডিবি’র আওতায় থাকলেও বাকি লাখ লাখ গ্রাহক ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো’র) আওতায় রয়েছে। শনিবার রাতেই ঠিকাদার নিয়োগ করে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। এ ঘটনায় ঝালকাঠি প্রতাপ পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহগীর হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে থাকা ৩৩ কেভি সঞ্চালনের গ্রীড লাইড দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষন ও সংস্কার না করায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ভারী বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগও পড়েছে দুভোর্গে।

পল্লী বিদ্যুৎ নলছিটি অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী গোপাল চন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, রিভার ক্রসিং টাওয়ারের তার ছিড়ে পড়ায় শুধু নলছিটি উপজেলা নয়, বরিশালের সদর উপজেলার কিছু অংশ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিরাট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই এলাকারও অসংখ্য মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। বিদ্যুৎকর্মীরা সংযোগ দেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে কাজটি খুবই জটিল। তাই কবে বা কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করা সম্ভব হবে নির্দিষ্ট করে তা বলা যাচ্ছে না।

বরিশালের পল্লী বিদ্যুৎ নির্বাহী প্রোকৌশলী শাহগীর হোসেন জানান, পুরোনে উচু টাওয়ারের ক্লাম ভেঙ্গে তার নিচে পড়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।