তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে -মঈন খান

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, অন্তবর্তী নয় দলীয় সরকারও নয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। ২০০৮ সালে যেমন ভারতের বস্তাভর্তি টাকায় ক্ষমতায় এসেছে আবারো সে চেষ্টা করলে সেটা হবে দিবাস্বপ্ন।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ভারত ও মিয়ানমারর কর্তৃক বাংলাদেশী ভূমি দখল, সীমান্তে মানুষ হত্যাসহ আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল ঢাকা মহানগর।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ জানে আগামিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জামানত হারাবে। সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়।

তিনি বলেন, এখন অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধুয়া শুনতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ এসব ধোকা জানে। অন্তবর্তীকালীন বলেন আর দলীয় সরকার বলেন এদেশে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলতে চাইলে বিরোধীদলকে কথা বলতে দিতে হবে। অন্যথায় গণতন্ত্র থাকবে না।
চল্লিশ বছর আগে দেশের সাত কোটি মানুষ জিয়াউর রহমানের আহবানে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো।

তিনি বলেন, গত দুই বছর নয় মাসে দুই শতের বেশী মানুষ বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। এর জবাব আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রকে দিতে হবে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেনিফেস্টোতে লেখা ছিলো না যে বাংলাদেশে মানচিত্র পরিবর্তন করবে। তাহলে কিসের বলে তারা মানচিত্র পরিবর্তন করছে।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন এসেছিলেন তখন শুনেছি পানি চুক্তি না হওয়ায় করিডোর দিবে না। কিন্তু করিডোর ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছে। যে করিডোর দেয়া হয়েছে সেই করিডোর দিয়ে তাদের গাড়ির মধ্যে কি যাবে তা দেখার কোনো ক্ষমতা বাংলাদেশের সরকারের থাকবে না।

মঈন খান বলেন, এদেশের মানুষ তাদের এক ইঞ্চি ভূমিও ভারতকে ছাড়বে না। সংগঠনের মহানগর সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মেজর (অব.) হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জিয়া সেনা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, মোঃ ইবরাহিম হোসেন, গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ।