পুলিশের ঘুম হারাম – পাল্টে গেছে চুরির ধরন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পাল্টে গেছে চুরির ধরন। রাতে নয়, বরিশালের গৌরনদীতে এখন দিনের বেলায় অহরহ চুরি সংঘঠিত হচ্ছে। তবে চাকুরীজীবিদের গৃহেই সবচেয়ে বেশি চুরি সংঘঠিত হওয়ায় আতংকিত হয়ে পরেছেন তারা। চাকুরীজীবিরা কর্মস্থলে যাওয়ার সুবাধে কৌশলে গৃহের তালা ভেঙ্গে অথবা গ্রীল কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্নস্থানে দিনের বেলা চুরি সংঘঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ১০ টি দিনে ও ৫টি রাতের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি বন্ধে এলাকাবাসিদের সচেতন করার লক্ষে থানা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় সভা অনুষ্ঠিত অব্যাহত রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর দিনের বেলায় ঘরের তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয় গৌরনদী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বিউটি সরকারের হাসপাতাল কোয়ার্টারের বাসায়। সেখান থেকে চোরেরা ২৮ ভরি স্বর্নালংকার, ৪ ভরি রুপা, নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নেয়। বিউটি তালাবদ্ধ করে রেখে পূজার ছুটিতে বরিশালে গেলে চোরেরা তালা ভেঙ্গে মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ৫ অক্টোবর দুপুরে বাটাজোর বন্দরের স্বপন মন্ডলের ফার্মেসীর সিঁদ কেটে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকার ঔষধ চুরি হয়। ওইদিন সমীর মন্ডলের ভুষামালের দোকানের বেড়াকেটে নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় সংঘবন্ধ চোরেরা। ব্যবসায়ীদ্বয় দুপুরের খাবার খেতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। এ সুযোগে চোরেরা এ চুরির ঘটনা ঘটনায়। একইদিন দুপুরে মাহিলারা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সঞ্জিব চন্দ্রের চরগাধাতলীর বাসায় চুরি হয়। সেখান থেকে ২ ভরি স্বর্নালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। ওই রাতে কালনা গ্রামের মন্টু আকন, সেলিম মল্লিক ও তোতা হাওলাদারের গৃহে চুরি সংঘটিত হয়েছে। গৌরনদী থানা সংলগ্ন তুহিন টেলিকম সেন্টারের পাকা ওয়াল ভেঙ্গে চুরির চেষ্ঠা চালায় একই রাতে। পরেরদিন দুপুরে তিখাসার গ্রমের অটোরিক্সা চালক সৈনদ্দিনের ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ব্যটারি চার্জার চুরি হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে একই গ্রামের বাবুল হোসেন নামক একজন সরকারি কর্মচারীর বাসার গ্রীল কেটে ১০ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ৫৬ হাজার টাকা চুরি হয়। গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী চাকুরীর সুবাদে বাসা তালাবদ্ধ করে রেখে কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগে চোরেরা নির্বিঘ্নে চুরি করে। ওইদিন দুপুরে টরকী বন্দরের মসজিদ মার্কেটের কাপর ব্যবসায়ী মোকাদ্দেসের দোকানের গ্রীল ভেঙ্গে নগদ সারে চার লাখ টাকাসহ ৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। একইদিন দুপুরে ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনের গ্রামীন ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বাসায় চুরি সংঘঠিত হয়। সেখান থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে নেয় সংঘবদ্ধ চোরেরা। ওইরাতে পিঙ্গলাকাঠীর ব্র্যাক অফিসের গ্রীল ভেঙ্গে একটি মটরসাইকেল চুরি হয়। এরপূর্বে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মেরাজ খানের দোকান থেকে প্রকাশ্যে দিবালোক ৫ লাখ টাকা চুরি হয়।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম চুরি বৃদ্ধির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চোরদের সনাক্ত ও চুরি বন্ধে এলাকাবাসীদের সচেতনার লক্ষে থানার বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃংখলা বিষয়ক সভা অব্যাহন রয়েছে। এ জন্য তিনি সর্বস্তুরের জনসাধারনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।