প্যাডেল রিক্সার পরিবর্তে অটোরিক্সা

যাত্রী গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের তুহিন ফকির জানান, অটোরিক্সায় নিরাপদে যাতায়াত, ধোয়ামুক্ত ও একসঙ্গে ৪/৫ জন যাত্রী বসতে পারা যায়। এ জন্য ভাড়াও কম। তাই খরচ বাঁচিয়ে স্বাচ্ছন্দের সাথে চলাচল করা যায়। তেল, গ্যাস ও মবিলের কোন ঝামেলা না থাকায় অটোরিক্সার মালিকেরাও বেশ লাভবান হচ্ছেন।
এসব উপজেলার অধিকাংশ বেকার যুবকেরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করে অটোরিক্সা ক্রয় করে তা চালিয়ে এখন বেশ স্বাচ্ছন্দেই বসবাস করছেন। অনেকেই আবার ভাড়ায়ও অটোরিক্সা চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করছেন। গৌরনদীর পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের আবু তালেব জানান, প্রতিদিন মহাজনের ভাড়া মিটিয়ে গড়ে প্রায় আড়াই’শ থেকে ৩’শ টাকা আয় হয়। আগে তিনি পেশায় প্যাডেল রিক্সা চালক ছিলেন। বর্তমানে অটোরিক্সা চালিয়ে স্ত্রী পরিজন নিয়ে তিনি ভালোই আছেন। তিনি আরো জানান, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা অটোরিক্সার ব্যাটারী চার্জ করে নিলে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পথ চলতে পারেন।
অপরদিকে রিক্সা চালকেরা পড়েছেন বিপাকে। অটোরিক্সার কারনে তাদের রিক্সায় আগের মতো তেমন আর লোকজন যাতায়াত করছেন না। গেরাকুল গ্রামের রিক্সাচালক কালাম সিকদার ওরফে কালু বলেন, অটোরিক্সার কারনে এ্যাহন আর মোগো প্যাডেল রিক্সায় কেউ ওঠতে চায় না। আগের মতো ক্ষ্যাপ (যাত্রী আনা নেয়া) না থাহায় পোলাপান লইয়া এ্যাহন না খাইয়া থাকতে হয়। তিনি আরো বলেন, মোর প্যাডেল রিক্সাডা ব্যাচতে (বিক্রি) করতে পারলে এনজিও থেইক্কা লোন উডাইয়া এট্টা (একটা) অটোরিক্সা কিনতাম। হ্যাও ব্যাচতে পারছিনা।