আগৈলঝাড়ার তিন বোনের এক স্বামীকে আদালতে প্রেরন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সহদর তিন বোনের একজন স্বামী নিয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তিন বোনকে ছাড়াও বিয়ে পাগল ওই লম্পট নারীলোভি ব্যক্তিটি আরো দু’জনকে বিয়ে করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার চার স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহন করেছে ১০ জন সন্তান। পঞ্চম বিয়ে করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন লম্পট বিধান পান্ডে। নারীলোভী বিধানকে শুক্রবার রাতে এলাকাবাসি আটক করে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ লম্পট বিধানকে বরিশাল আদালতে প্রেরন করেছে।

বাকাল ইউনিয়নের জলিরপাড় গ্রামের বিনোদ রঞ্জন জানান, উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বিজয় পান্ডের পুত্র কাঠমিস্ত্রি বিধান পান্ডে (৪৫) প্রথমে বাশাইল গ্রামের মহানন্দ মধুর কন্যা শান্তি রানীকে বিয়ে করে। শান্তি রানী দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে মারা যায়। এর কিছুদিন পর বিধান জলিরপাড় গ্রামের অনিল হালদারের কন্যা দীপালিকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দিপালীর গর্ভে ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। এরইমধ্যে দিপালীর মেঝ বোন রুপালীকে বড় মগরা গ্রামের রিঙ্কু মধুর কাছে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের ৬ মাস যেতে না যেতেই নারী লোভী বিধান কৌশলে ফুসলিয়ে রুপালীকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। রুপালীর গর্ভে ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। পরবর্তীতে বিধানের নির্যাতনে রুপালী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর নজর পড়ে তার ছোট শ্যালিকা স্মৃতি রানীর ওপর। বিধান স্মৃতিকে তার চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ের করে। ওই সংসারে তার ৩ টি কন্যা সন্তান রয়েছে। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি নারীলোভী বিধান। অতিসম্প্রতি বিধান তার চাচা শশুর চিত্ত রঞ্জন হালদারের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা মিঠু রানীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠু রানীর পিতা গ্রামবাসীর সহায়তায় নারী লোভী বিধানকে কোদালধোয়া এলাকা থেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।