যুবদল নেতার অসামাজিক কর্মে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যুবক আহত

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে পরকীয়া ঘটনার প্রতিবাদ করায় একজনকে পিটিয়ে আহত করেছে ঘটনার সাথে জড়িতরা।

স্থানীয় ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে বারপাইকা গ্রামের মৃত সৃর্ঘ হুরার পুত্র ও তার পরিবারের লোকদের ম্যানেজ করে গৈলা কালুপাড়া গ্রামের ইট বালু ব্যবসায়ি অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক উপজেলা যুবদল নেতা জসীম মোল্লা (৪৫) বেশ কিছু দিন যাবত বহিরাগত অল্পবয়সী অভাবি অসহায় নারীদের এনে রাত্রি যাপন করে। এ বিয়য়ে এলাকায় জানাজানি ও স্থানীয়রা হাতে নাতে ধরার জন্য অপেক্ষায় থাকে। শুক্রবার রাতে জসীম মোল্লা অজ্ঞাত এক ২২-২৪ বছর বয়সের এক নারীকে নিয়ে সুধনের ঘরে উঠে। রাতে অসামাজিক কর্ম শুরু করলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে সুধান তার ভাই বিধান, রিপন, তাহের, প্রতিবাদকারিদের মধ্যে রাম মন্ডল (৩৫)কে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। জনতার আক্রশ থেকে বাঁচাতে জসীম এবং ওই অজ্ঞাত নিশিবালাকে কৌশলে সরিয়ে দিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে সাজিয়ে সুধান থানা পুলিশকে খবর দিলে এস.আই ইদ্রিস আলি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগকারী সুধান ও স্থানীয়দের বিবরনে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে। এসময় ইউপি সদস্য আজিজুল সাহ্, অজিৎ বাড়ৈ স্থানীয় মিমাংশার মুচলেকা দিয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপ বিরত রাখে। এ ঘটনা দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য মাত্র একমাস পূর্বে পার্শ্ববর্তি ঐচারমাঠ গ্রামের উপেন বাড়ৈর বিধবা স্ত্রী উজ্জলা বাড়ৈ (৩৫) এর সাথে অসামাজিক কর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় জসীম মোল্লাকে হাতে নাতে ধরে স্থানীয় জনতা উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে এবং আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এছাড়াও জসীম মোল্লার বিরুদ্ধে নিজ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায় বহু নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবারে ঘটনার বিষয়ে রত্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সাবেক ইউপি সদস্য মোহন সাহ, রবিন্দ্র নাথ হালদার, সুরেশ বিশ্বাস, স্থানীয় বজলু কাজী, অরুবিন্দু বিশ্বাস, নিখিল কির্ত্তনীয়া অভিযুক্তদের কর্ম মাফিক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোড়ালো আহবান জানায়।