ছাত্রলীগের দু’নেতার কারনে গৌরনদী আওয়ামীলীগের কার্যক্রম চাঙ্গা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক সচেতন বলেখ্যাত বরিশালের গৌরনদীতে দলীয় কার্যক্রমসহ সকল কর্মকান্ডের আয়োজন করে আওয়ামীলীগকে চাঙ্গা করে রেখেছেন ছাত্রলীগের দু’নেতা। দীর্ঘদিন ধরে এখানে আওয়ামীলীগের কমিটি নেই। যুবলীগের আহবায়ক পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি অফিসিয়াল কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা কেউ কেউ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর জনগনের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখায় দলীয় কর্মকান্ডে তেমন সময় দিতে পারছেন না। উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দরা কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই দলীয় কার্যক্রমসহ অন্যান্য কর্মকান্ডের আয়োজন করে গৌরনদীতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগকে চাঙ্গা করে রেখেছেন ওই দু’ছাত্রলীগ নেতা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট সরকারের শুরু থেকে অদ্যবর্ধি সরাকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া ও সহসভাপতি লুৎফর রহমান দ্বিপ দলীয় কর্মকান্ডে সর্বদা তাদের নিয়োজিত রেখেছেন। উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন নির্বাচনের পূর্বে বসন্তের কোকিলের ন্যায় গৌরনদীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ছুঁটে আসা অসংখ্য নেতাদের নির্বাচনের পর আর মাঠে দেখা যায়নি। দলীয় কর্মকান্ডেও তাদের দেখা মিলছে না। এ অবস্থায় গৌরনদীতে বিরোধী দলের সকল কার্যক্রম চলছে লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো। যদিও এখানকার বিএনপিতে রয়েছে তীব্র কোন্দল। তার পরেও ত্রীধা বিভক্ত হয়ে এখানে প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে ও ঘরোয়া পরিবেশে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।  

সূত্রে আরো জানা গেছে, ওই দু’ছাত্রলীগ নেতা মহাজোট সরকারের শুরু থেকে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচন দাবি করে আসছিলেন। সেমতে এতদাঞ্চলের আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অভিভাবক জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসের কাছে ছাত্রলীগ নেতারা একাধিকবার ধর্ণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচন না হলেও বা কি হবে! ওই দু’ছাত্রলীগ নেতা অন্যান্য সব ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সনে বিরোধী দল বিএনপির হামলা ও মামলার স্বীকার নেতা-কর্মীরা বর্তমান মহাজোট সরকারের শুরু থেকে অদ্যবর্ধি এখনো রয়েছেন কোনঠাসা। তাই তারা বাধ্য হয়েই দলের কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করছেন না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের নিস্কিয়তার প্রভাব পড়তে পারে আগামি সংসদ নির্বাচনে। যার চরম মূল্য গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আওয়ামীলীগের দিতে হবে।