টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষের আশংকা

ঝালকাঠী প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান কাজে প্রায় ৪কোটি ৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার ড্রপ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রস্তুতি চলছে।  দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনীত নির্দিষ্ট ঠিকাদাররা টেন্ডার গুছ প্রক্রিয়া শুরু করলে সাধারণ ঠিকাদারদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলেন সন্ত্রাসীদের ভয়ে সিডিউল ক্রয় করতে পারেনি। গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী টেন্ডার ক্রয়ের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের মহড়ার ও বাধার কারনে সাধারন ঠিকাদারা কোন সিডিউল ক্রয় করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝালকাঠি -১ আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চুর মনোনীত ঠিকাদাররা মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে। তবে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের উপেক্ষা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরিফ ট্রেডার্সের মালিক আরিফ মৃধা ও মেসার্স কবির ষ্টোরর্স এর মালিক কবির রাজাপুর থেকে সিডিইল ক্রয় না করতে পেরে জেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে দুটি সিডিউল ক্রয় করেন। এ সিডিউল ক্রয় করলে শুরু হয় উত্তেজনা। এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্যালক ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল সিকদারের নেতেৃত্বে শুরু হয় মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে অব্যহত হুমকি। সোমবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে উপজেলা ডাকবাংলো মোড়ে দুই গ্র“পের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলে খবর শুনে ঘটনাস্থলে রাজাপুর থানা পুলিশ এসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের ক্যাডাররা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি সমর্থিত এক ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করলে আবারো পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সংঘর্ষের আশংকায় উপজেলা পরিষদে র‌্যাব সদস্যরা অবস্থান নেয়। নির্ভরযোগ্য আ’লীগের একাধিক সূত্র জানায়, আজ বুধবার দলীয় সিদ্ধাতের বাইরে যারা সিডিউল ক্রয় করেছে তাদের যে কোন উপায়ে টেন্ডার ড্রপে বাঁধা দেয়ার উদ্ধেশ্যে যে কোন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ব্যাপক প্রস্তুতি চালচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। আলাপকালে উপজেলা প্রকৌশলী লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যথা নিয়মেই সিডিউল বিক্রয় ও জমা নেব। তবে এ ব্যাপারে দলীয় বা অভ্যন্তরীন কোন কোন্দলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার আমার নয়। রাজাপুর থানার ওসি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বুধবার যে কোন ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা পরিষদে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হবে।