পরকিয়ায় বাধা দেয়ার কারনে দেবরের কান ছিড়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা

মহসিন মিয়া লিটন, উজিরপুরঃ উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে বড় ভাইর স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় দেবরের কান ছিড়ে ও দেবরের ছেলেকে পিটিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ আঠারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় স্থানীয় কারফা বাজারে। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী রবি বিশ্বাস (৪০) কে  বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও আহত সূত্রে জানাযায় টাকাবাড়ী গ্রামের যাদব বিশ্বাসের পুত্র নিমাই বিশ্বাস (৩২) একই বাড়ির রেনু বিশ্বাসের স্ত্রী বেলোকা রানী (৩০)সাথে দীর্ঘ ৫ বছর পর্যন্ত পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কযেকবার সালিস মিমাংসা করা হয়। তারপর থেকে নিমাই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এই সূত্র ধরে গতকাল সকালে রেনু বিশ্বাসের ছোট ভাই মাছ বিক্রেতা রবি বিশ্বাস(৪০) কে কারফা বাজারে একা পেয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নিমাই ও তার দুই সহযোগী সঞ্জীব ডাকুয়া ও নিমাই। হামলায় রবি বিশ্বাসের বাম কান ছিড়ে যায়। হামলাকারীরা ঘটনাস্থলে নম্বরবিহীন একটি মটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় আহতের ভাতিজা নির্মল বিশ্বাস এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও ওই বাড়ীর একাধীক নারী পুরুষ জানায় মোটরসাইকেল চালক নিমাই ৫ বছর পূর্বে শ্যালিকার সাথে প্রেমে জড়িয়ে তার ১ম স্ত্রী নমিতাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। তার স্ত্রীকে ভূতে মেরেছে বলে প্রচার চালিয়ে সে সময় আত্মরক্ষা করে নিমাই। পরে তার ছোট বোন দিপালীকে বিয়ে করে। দিপালীকে বিয়ের ব্যপারে তার পরিবার থেকে অপরাগত প্রকাশ করলে সে সময় নিমাই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ওই এলাকার বাবুলাল হালদার, মুকুন্দ, নিরঞ্জন হালদার, মোস্তাফিজুর রহমান সহ আরো অনেকেই জানান, নিমাই দুর্ধষ সন্ত্রাসী, নারী লোভী প্রকৃতির লোক। সর্বহারা দলের সাথে তার গোপন যোগাযোগ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ এ ঘটনায় উদ্দেগ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।