নুলা মুসা কিংবা প্রিন্স মুসাঃ যে রাজাকারের সম্পদ আর ক্ষমতার কথা শুনে আপনি চমকে যাবেন-২

নিঝুম মজুমদারঃ এই পর্বের শুরুতে আপনাদের আগে বলে নেই যে, এই মুসা বিন শমশেরের নাম, কি করে নুলা মুসা হলো । নুলা মুসার বাম হাতের উপরের অংশটি জন্মগতভাবে খানিকটা বাঁকা ও সেটিকে সোজা করে রাখতে পারতনা সে । অনেকটা ঝুলিয়ে রাখতে হতো । সে কারনেই স্থানীয় লোকজন তাকে “নুলা মুসা” বলে সম্বোধন করে । তবে তার এই নামকরন টি মুক্তিযুদ্ধে তার ঘৃণ্য ভূমিকার পর-পরই হয়েছিলো ।

নুলা মুসার সাথে পাকিস্তানী মেজর আকরাম কোরায়শীর ভালো সম্পর্ক কি করে হলো তা অনেকগুলো সোর্স থেকে বের করবার চেষ্টা করেছি । এই সোর্সের বেশীর ভাগই হলো মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে রাজাকার,আলবদর,আলশামস ও পাকিস্তানী হানাদারদের নিয়ে যে গবেষনা হয়েছিলো, সেগুলো । এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডা এম এ হাসানের পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধী ১৯১ জন ( পৃষ্ঠা ৪৫-৫০ ) নামক গবেষনাধর্মী বইটি । যেখানে ১৯৭১ সালে যেসব পাকিস্তানী মিলিটারী হানাদারেরা বিভিন্ন রকম অপরাধে অভিযুক্ত ছিলো তাদের নাম,অপরাধের ধরন,এবং সাক্ষীর নাম সহ তাদের সাক্ষ্য বর্ণনা ও সেই সাথে সেই অবস্থার বা সময়ের পূর্ণ বিবরণ । পাঠক আপ্নারা খানিক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভাবলেই বুঝতে পারবেন কতটা কষ্টসাধ্য এবং কতটা দূর্লভ একটি বই এটি । এছাড়াও দৈনিক জনকন্ঠ থেকে প্রকাশিত “সেই রাজাকার” বইটি (২৪-০৩-২০০১ সালের রিপোর্ট), বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয় থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র,ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির বিভিন্ন রিপোর্ট ও রাজাকারদের তালিকা আমাকে বিশেষ ভাবে সিদ্ধান্তে পৌছুতে সাহায্য করেছে ।

নুলা মুসার বাবার নাম ছিলো শমশের মোল্লা । আজকে নুলা মুসা যেমন তার নামের আগে প্রিন্স শব্দটি বসিয়েছে ঠিক তেমনি এইভাবেই তার বাবা শমশের মোল্লা নিজের নামের আগে পীর শব্দটি বসিয়েছিলো । এই ভন্ড ও তথাকথিত পীর ততকালীন সময়ে একজন আধ্যাত্নিক সাধক হয়ে উঠবার জন্য প্রাণ-পণ চেষ্টা করতে থাকে এবং প্রচার করে যে সে স্বপ্নে বিভিন্ন নির্দেশ পায় ও আল্লার সাথে তার একেবারে ডাইরেক্ট যোগাযোগ । বাংলাদেশের মানুষ খুব সহজেই এইসব বিশ্বাসে আক্রান্ত হয় এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই শমশের মোল্লাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে । পীর নামটি প্রকাশ করতে না করতেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ও মেজর আকরাম কোরায়শীর নেতৃত্বে পাকিস্তানী হানাদারেরা ফরিদপুরে প্রবেশ করে ।( এখানে একটি কথা বলে নেয়া ভালো যে এই আকরাম কোরায়শী-ই হচ্ছে সেই ১৯১ জন যুদ্ধপরাধীদের একজন যাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো এবং পরবর্তীতে বিতর্কিত সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ছাড়া পেয়ে যায় । )

পাকিস্তানী আর্মি ফরিদপুরে ঢুকবার পর-পরি এই তথাকথিত ভন্ড পীর শমশের মোল্লার কথা শুনতে পায় এবং আকরাম কোরায়শী এই শমশের মোল্লার সাথে পরিচিত হয় । ঠিক সে সময়েই মোল্লা তার ছেলে নুলার সাথে আকরাম কোরায়শীকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং ফরিদপুরে হানাদারদের সাথে একাত্ন হয়ে তাদের সাহায্য করবে হিন্দুদের উতখাত করবার জন্য, সেই মর্মে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় । এর আগেও আমরা জেনেছি যে রাজাকার শর্ষিনার ভন্ড পীর আবু জাফর সালেহ ( এই রাজাকার কিন্তু দুই দু’বার স্বাধীনতা পদক পেয়েছে, হায় জাতি !!! ১৯৮০ সালে খুনী জিয়া ও ১৯৮৫ সালে লুইচ্চা এরশাদ) সাথে পাকিস্তানী হানাদারদের সখ্যের কথা । কোনো এক কারনে এই পাকিস্থানী হানাদারেরা এই পীর-ফকির এই জাতীয় নাম শুনে গলে যেত । ফরিদপুরের মানুষের কাছে কথিত আছে যে ভন্ড পীর শমশের মোল্লা পাকি সেনাদের মনোবোল বাড়াতে বিভিন্ন রকম দোয়া করে তাদের গায়ে ফুঁ দিত ।
এছাড়াও নুলা মুসা যখন স্কুলে পড়ত তখন করাচীতে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এই নুলা শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরষ্কার পায় এবং আইয়ুব খান সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলো । সে সময়েই এই খুদে সাপটি প্রথম নজরে আসে । পরবর্তীসময়ে ২১ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালে নগরকান্দায় যেদিন পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ চালায় সেদিন থেকেই বাবা শমশের মোল্লার হাত ধরে খুনী আকরাম কোরায়শীর সাথে হাত মেলায় এই নরপশু মুসা ।

মুসার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শহরের মদনগোপাল আংগিনার চন্দ্রকান্ত নাথ, গৌরগোপাল আংঙ্গিনার বিজয় মজুমদার,টেপা খোলার কবির আহমেদ চৌধুরী,গুড় বাজারের শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দুলাল, খোদাবক্স রোডের অপরেশ সাহা, ভোম্বল সাহা, বৈদ্যনাথ সাহাকে খুন করে এই পাকি হানাদার বাহিনী এই নুলা মুসার সহযোগিতায় । একাত্তরে এই নুলা মুসা যে একাই তার সব অপকর্ম করেছে নগরকান্দায় তা নয় । তার লুটপাটের সহযোগী হিসেবে যাদের নাম খুবই উল্লেখযোগ্য , তারা হলো , মজিদ বিহারী ,আবুল বিহারী ,কালু বিহারী, চান্দা, ভেটকা, আয়নাল, আইয়ূব, অনু,পান্নু, চন্দন,রবি,হাম্মাদ মৌলানা সহ অনেক পাকি দোসর । নিত্যানন্দ কবিরাজ, সুখেন্দু রায়,মুক্তিযোদ্ধা আজাদ সিদ্দীকি অহিভূষন পোদ্দার, ধীরেন সাহা, চন্দ্রকান্ত পোদ্দার সহ আরো অনেক নিরীহ মানুষের বাসায় আজকের ডক্টর প্রিন্স মুসা বিন শমশের আগুন ধরিয়ে দেয় । এই লাহিড়ীপাড়া,ওয়ারলেস পাড়া,শোভারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার নির্যাতিত মানুষের মুখে মুখে আজও সেই নির্যাতনের গল্প আর মুসার বিভিষীকাময় সে গল্প রূপকথার গল্পকেও হার মানায় তার দুই সময়ের কর্মকান্ডে । ১৯৭১ সালের রাজাকার নুলা মুসা আর ২০১০ সালে অসীম বিত্ত আর বৈভবের মালিক ডক্টর প্রিন্স মুসা ।

ডক্টর এম এ হাসানের ১৯১ জন পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধী বইটিতে ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার দায়িত্বে থাকা পাকি অফিসার মেজর আনসারী, মেজর আকরাম কোরায়শী ও সিপাহী রাশিদ খান (বেলুচ) সম্পর্কে সেই অঞ্চলেরই কিছু সাক্ষীর জবানবন্দীতে পাকি হানাদারদের তান্ডব এবং সেসময় নুলা মুসার প্রত্যক্ষ মদদ সম্পর্কে আরো জানা যায় । এম এ হাসানের ১৯১ পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধীদে বইটির ৪৮ নাম্বার পৃষ্ঠা থেকে কিছু অংশ কোট করছি-

 

“আমাদের গাড়ি গিয়ে থামল ফরিদপুর সার্কিট হাউসের ভেতরে। দেখলাম চেনা-অচেনা অনেককে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদেরকে একটা র"মের ভেতরে নিয়ে গেল। সেখানে পাকিস-জানি মেজর আকরাম কোরেশীর সঙ্গে আমাদের মুসা বিন শমসের ও নাজমা ক্ল স্টোরের মালিককে দেখলাম খোশ গল্প করছে। এই মেজরকে তখন চিনতাম না, পরে নাম জানতে পেরেছি। সিএন্ডবি ও পাবলিক হেলথের দু’জন ড্রাইভার এবং অন্য ছ’জন আর্মিও সেখানে দাঁড়ানো ছিল। “যাহোক কিছুক্ষণ পর সার্কিট হাউজে মেজর কোরেশীর র"মে আরও বারো-তেরো জন যুবককে ধরে আনল পাকি সেনেরা। তারপর তাদের সবাইকে বাইরে এনে রাস-ার পাশে লাইন করে দাঁড় করাল। আমরা র"মের ভেতর থেকেই সব দেখতে পা"িছলাম। মুহূর্তের মধ্যে তাদের ওপর মেশিনগান চালিয়ে দেওয়া হল। আমরা চিন-াই করিনি, এ রকম ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। দেখলাম ধীরে ধীরে নিথর হয়ে আসছে দেহগুলো। আমাদেরও একই পরিণতি হবে ভেবে দু’ভাই ততক্ষণে কাঁপতে শুর" করেছি। এর পর তিন জন আর্মি আমাদের র"মে এসে ঢুকল। তাদের একজন বলল, আমাদেকে মারা হবে না। আরেকজন বলল, ‘মারা হবে না মানে? আমি নয় আদমি মেরেছি, এই শালাদেরকেও মারব।’ আমার তখন জ্ঞান হারানোর দশা। মুসা বিন শমসের আমাদেরকে ভালভাবেই চিনত।মেজর যখন আমাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করল, তখন সে কোন কথাই বলল না। আর্মির সঙ্গে মুসার তখন অনেক খাতির। আমরা আশা করেছিলাম, সে কিছু একটা বলবে । কিন্তু তার মধ্যে কোন রকম পতিক্রিয়া দেখতে পেলাম না”

নুলা মুসার নামে ১৯৭১ সালে একটি বড় অভিযোগ ছিলো, সে ফরিদপুরের তালমা’র অমূল্য কুন্ডু এবং কার্তিক সাহার বাড়ি থেকে লুট করে এনেছিলো প্রায় আট মন সোনা । উল্লেখ্য কার্তিক সাহা ও অমূল্য কুন্ডু স্বর্ণের ব্যাবসায়ী ছিলেন । মূলত পাকি মেজর আকরাম কোরায়শীর অনেকটা চামচা গোছের ভৃত্য ছিলো এই মুসা । কোরায়শীর বিভিন্ন মিশনের ফায়-ফরমাশ খাটাই ছিলো আজকের ডক্ট মুসা বিন শমশেরের প্রধান কাজ ।

আর আজ ? পাঠক আপ্নারা চিন্তাও করতে পারবেন না , মোটামুটি আপনাদের কল্পনারও বাইরে নুলা মুসার সম্পত্তি আর তার অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে ধারনা করা , কেননা নুলা নিজেই এই সম্পদের প্রকৃত হিসেব জানে না । নুলা মুসা সম্পর্কে আমি যখন পড়তে শুরু করি সেই সময়টি থেকেই আমার ভেতর একটি ক্লান্তি ক্রমাগত ভর করে ওঠে । কেবল মনে হতে থাকে , পৃথিবীর আর কি কোন রাষ্ট্র আছে , যেখানে এভাবে খুন করে , বেঈমানী করে পার পেয়ে পাওয়া যায় ? পৃথিবীর আর কোন সভ্যতা কি রয়েছে যেখানে দেশের বিরুদ্ধে দ্রোহ করে , দেশের মানুষের বিরুদ্ধে দ্রোহ করে , খুন আর হত্যার উতসব করে কোনো মানুষ টিকে থাকতে পেরেছে ? আমাদের এই বাংলাদেশেই এসব সম্ভব ।

আমি আগে ভাবতাম , বাংলাদেশেই সম্ভবত টাকা দিলে মানুষ কিনে ফেলা সম্ভব । বাংলাদেশেই সম্ভবত রাজনীতি বিদেরা একেক জন একেকটা খানকি আর শুয়োরের বাচ্চা । কিন্তু এখন দেখছি পৃথিবীর সব দেশেই নেতা আর নেত্রীরা টাকার কাছে বিকিয়ে যান । টাকার কাছে, ক্ষমতার কাছে নষ্ট হয়ে যান । আপ্নারা তো সবাই জানেন নেলসন ম্যান্ডেলার কথা । পৃথিবীর হাজারো মানুষ তাকে সম্মান করেন । একজন জগত বিখ্যাত লেজেন্ড হিসেবে তিনি টিকে রয়েছেন আমাদের মাঝে । অথচ এই নেলসন ম্যান্ডেলা তার নিজের লেখা আত্নজীবনী এই নুলা মুসাকে উপহার দিয়েছে এবং সেখানে লিখেছে, “আমার প্রিয় বন্ধুকে” । শুধু সেখানেও ব্যাপারটি শেষ হয়ে যেতে পারত । তা হয় নি । নেলসন ম্যান্ডেলা মুসার সাথে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন উপদেশও নিয়ে থাকেন ও তাদের ভেতর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে ।
 

সবচাইতে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে পৃথিবীর অন্য দশের পত্রিকার সাংবাদিকেরা যখন এই নুলা মুসাকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে । নাইজেল ফার্নডেল একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক । তিনি অনেক বছর ধরে ইংল্যান্ডের দৈনিক, “দি টেলিগ্রাফে” নিয়মিত লিখছেন । এই পত্রিকার সাংবাদিক তিনি । তিনি যখন প্রবল তেল আর গদোগদো হয়ে ১৭ ই মে ১৯৯৮ সালে লিখে বসেন “ম্যান উইথ দা গোল্ডেন গানস” তখন আপনাকে অবাক হতেই হবে । সেই লেখা আবার যেমন তেমন লেখা নয় । সত্যিকার অর্থেই তেলে টইটুম্বুর একটি চপচপে লেখা । যেই লেখার ভেতর উঠে শুধু বর্ণনা করা রয়েছে নুলা মুসার বিত্ত আর বৈভবের কথা । লেখাটি দেখলে আপনি মাথা নষ্ট একজন পাগল হলেও নিমিষেই বুঝে যাবেন এই লেখা অর্থ দিয়ে কিনে নেয়া হয়েছে । মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে এই ফরমায়েশি লেখাটি লিখবার জন্য । সেখান থেকে কিছু কথা কোট করি,

Our story begins more than a year ago. My visit for last spring was postponed because Dr Moosa's 20-year old daughter, Nancy, was marrying a nephew of the Prime Minister of Bangladesh. However, the local press covered, among other matrimonial aspects, Nancy-from head to foot, while lying down-in a shower of gold and jew¬els. Dr Moosa's private jet flew in flowers from Holland, olives from Greece, cheese from France, min¬eral water from Ireland.


A fresh visit for me was sched¬uled for December, when Dr Moosa was in (unsuccessful) negotia¬tion to buy Luton Hoo, the Bedfordshire stately home, for £25 million. This trip fell through be¬cause Dr Moosa was “attracted” by the Asian stock-market crash in which, according to the Hong Kong financial press, he lost $270 million.

So, in the spring of this year, I arrived at Dhaka airport on the Telegraph expenses. I was happily boarded at luxury suit of Hotel Sheraton in the mid-town of Dhaka.

Next day, I am greeted outside Dr Moosa's office in the diplomatic quarter of Dhaka by about 20 members of his staff.

Dr Moosa's office is very James Bond baddie, circa 1974. There are 12 clocks on one wall, giving the times in a number of capitals. On the desk there is a band of tele¬phones of varying hues, denoting levels of urgency. On the wall be¬hind the desk is a map of the world, with Dhaka, not Green¬wich, at the centre. On the other walls there are photographs of Prince Moosa, some with eminent figures-Dole, Forbes, Bush — oth¬ers of him alone, apparently seat¬ed on a throne, with his chin held high. On a central table there are some autobiographies to browse — Lady Thatcher's, Sir Edward Heath's, Nelson Mandela's, Sir David Frost's-all with handwrit¬ten dedications to Prince Moosa. Mandela says: "To Prince Moosa. Best wishes to a wonderful friend. — Mandela."

As I am couched in the cozy of¬fice suit of Dr. Moosa, I notice a brochure on the table- its cover as well as a company name, Textron. Dr. Moosa is the fountainhead of a vast business empire operating in more than 30 countries; he runs most of his companies anonymous¬ly, and manages some of them from such offshore tax havens as the Cayman Islands. Along with arms dealing, his main interests are the construction industry, manpower services and the hotel trade. He bathes every day in rose-water and owns 3000 suits. One can't expect him twice to be seen in the same very apparel.

In his finely tailored Italian suit and ruby rings, he looks graceful and attractive as the flamboyant Prince of the East. His belt-buckle winks with clusters of diamonds. There are rubies and diamonds, too, on his gold Rolex. It is the most expensive watch in the world. That it costs $1 million.
শুধু নাইজেল ফার্নডেল নয় । বিখ্যাত ম্যাগাজিন “ইকোনোমিক রিভিউর” নভেম্বর ১৯৯৭ সংখ্যাতে সাংবাদিক মার্ক ডেমাজো , মিশরীয় সাংবাদিক হামিদ শেরোনি এবং ভারতীয় সাংবাদিক আনিতা আগরওয়াল এই তিনজন একটি লেখা প্রকাশ করে “ফেইরি টেল অফ দা ড্রিম প্রিন্স অফ দা ইস্ট” শিরোনামে । যেখানে সেই একই গল্প । নুলা মুসার অর্থ আর বৈভবের গল্প ।

এছাড়াও ইন্ডিয়ার প্রখ্যাত সব পত্রিকা, ইংল্যান্ডের,ফ্রান্স,লিবিয়া,জার্মানীর অনেক বিখ্যাত পত্রিকা এই নুলা মুসাকে নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ বড় সড় আকারে । নুলা মুসা কি দিয়ে হাগে, কি দিয়ে মুতে , কোন রেজর দিয়ে বাল ফালায় সেসব গল্প । জানি পাঠকদের খানিকটা আগ্রহ হচ্ছে এই গল্প শুনবার ।

বিখ্যাত কলম ও স্টেশনারী প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান মন্ট ব্লাঙ্ক নুলা মুসার জন্য একটি কলম বানিয়ে দিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ৭,২৫০ টি ছোট ছোট হীরা । এই কলম দিয়েই নুলা মুসা সব গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ,চুক্তি,ইত্যাদি সাক্ষর করে থাকে । তার হীরক খচিত জুতো রয়েছে অসংখ্য । পৃথিবীর সব বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এই রাজাকারের জন্য স্যুটের ডিজাইন করে দেয় । তবে আপ্নারা আশ্চর্য হবেন এই ডিজাইন করা স্যুট গুলোর রঙ দেখলে । একটা মানুষ কতটা নীচু রুচির হতে পারে তা তার এইসব মূল্যবান পোষাক দেখলেই আপনি আঁচ করতে পারবেন । ধরা যাক স্যুট পরেছে লাল রঙ্গয়ের আর শার্ট পরেছে হলুদ । কিংবা কোটি পরেছে গোলাপী কালারের আবার টাই পরেছে সবুজ । এই ধরনের । অর্থ থাকলেই যে একটি মানুষ রুচিবান হতে পারে না সেটি তার এইসব পোষাকের দিকে তাকালে একজন শিশুও অবলীলায় বুঝে ফেলতে পারবেন । আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না, ১৯৯৯ সালের দিকেই সম্ভবত, এই মুসা পুরো এটিএন বাংলা কয়েক ঘন্টার জন্য ভাড়া নিয়েছিলো শেরাটনে তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবার জন্য । টনি ব্লেয়ারকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড ডোনেট করতে চেয়েছিলো লেবার পার্টির নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করবার জন্য । তার ব্যাক্তিগত জেট প্লেনটি ধার দেয়া হয়েছিলো আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বব ডোলের জাতীয় নির্বাচনের সময় যাতায়াতের জন্য । ১৯৯৫ সালে মৃত্যু বরণ কারী রাশিয়ার জার হবার প্রার্থী ( যিনি স্পেনে লুকিয়ে ছিলেন) আলেক্সিস-২ ছিলো এই নুলা মুসার বিশ্বস্ত বন্ধু । কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট এই নুলা মুসাকেই ফোন করে জানতে চায় তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হবে । রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলতসিন নিয়মিত খোজ নিয়ে জানত মুসা বিন শমশেরের খবরা খবর ।

জানিনা টুঙ্গি পাড়া থেকে ফরিদপুর শহরের নগরকান্দা কতদূর । আমি এও জানিনা শেখ সেলিম কি সে সময়কার ইতিহাস জানেন কি না । আমি এই তথ্যও জানিনা যে, শেখ সেলিম কি ১৯৭১ সালে আর অন্যসব আওয়ামীলীগ নেতাদের মতন ভারতে গিয়ে লুকিয়ে ছিলো কি না । আর লুকিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে তার জানার কথা এই নুলা মুসা রাজাকারের কথা । আপ্নারা যারা ব্লগে লিখেন কিংবা লেখা লেখি করেন তারা জামাত শুয়োরের বাচ্চা এবং তাদের পা চাটা কুকুর বি এন পি সমর্থক গুলোকে চেনেন । তাদের নাম জানেন । আপ্নারা এও জানেন এখানে ছাগু নামকরণের ব্যাপারটি । অথচ শেখ সেলিম তার বড় ছেলে শেখ ফজলে ফাহিমের বিয়ে যখন নুলা মুসার মেয়ে যাহারা ন্যান্সির সাথে দেন তখন আওয়ামী পতাকাবাহী দালালের বাচ্চারা কই থাকে ? কই থাকে তাদের এত হম্বি তম্বি ? যখ শেখ হাসিনার বেয়াইকে রাজাকার বলা হয় তখন অনেক জারজ ইতরের বাচ্চা গুলোকে দেখেছি আমার পেছনে আঠার মত লেগে থাকতে । তর্কের পর তর্ক করতে । অথচ আজ এতটা বছর হয়ে গেলো এই রাজাকার নুলা মুসার সাথে শেখ সেলিমের বেয়াই হবার কথা নিয়ে কোনো আবাল চ্যাংড়ার বাচ্চাকে তো দেখলাম না দলিল দস্তাবেজ নিয়ে উপস্থিত হতে ! কোনো আওয়ামী সমর্থক কাউকে একবারো দেখলাম না এর প্রতিবাদ করে কথা বলতে? এই বিয়ে যে প্রেমের বিয়ে তাওতো নয় । সম্পূর্ন এরেঞ্জন্ড বিয়ে । তাহলে “প্রেমে পড়লে বাপের কি করবার আছে,” ( এখন অনেক আওয়ামী নাগর ব্যাস্ত হয়ে যাবে, এই বিয়ে প্রেমের বিয়ে তা প্রমাণ করবার জন্য) এই যুক্তিও খাটে না ।

নাহ, এইসব কথা শেখ সেলিমের বেলায় খাটে না । শেখ সেলিমের ব্যাপারে খাটে না কোনো ছাগু ট্যাগ । কোনো জামাতী কর্মকান্ডের সন্দেহ এই সেলিমের ব্যাপারেও এসে মুখ থুবড়ে পড়ে । বি এন পি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অবৈধ ভাবে জন্মানো দল । এর প্রমাণ তারা রেখেছে ও ইনশাল্লাহ রেখে যাবে রাজাকার আর আল্বদর দের বাঁচাবার বিভিন্ন পায়তারা করেই । আমরা সাধারণ জনগণ এই বিষয়ে সোচ্চার ও সম্পূর্ণ অবগত । আপনি ফ্রিডম পার্টির মত কুত্তার বাচ্চা কিংবা নেড়িকুত্তার মত দল বলেন, অথবা জাতীয় পার্টির মত লুইচ্চা সর্বস্ব দল বলেন সবাইকেই আমাদের চেনা আছে । কিন্তু যেই আওয়ামীলীগ রাজাকারদের নিপাতের কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, মহান নেতা বংগবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়নের কথা বলে, তারা কি করে বিয়ে দিচ্ছে রাজাকার আর আলবদরদের সাথে ? তাদের বেলায় কি চিহ্নিত কোনো ব্লগীয় দালালেরা কিছু বলবেন না ? নাকি বিভিন্ন নামে এসে নিঝুম মজুমদারকে বাল ফেলাতেই তাদের আনন্দ ?

আপ্নারা হয়ত এই পর্ব পড়ে মনে মনে অনেক হিসেব কষছেন ।ভাবছেন অতিরঞ্জিত বলছি । জানি, আপ্নারা হয়ত ভাবছেন, এত বড় হ্যাডম আলা রাজাকার , এই লোক বাংলাদেশে থাকে কেন ? কেনই বা তার নাম তেমন করে কেউ কখনো শুনে নি ? এই রাজাকার কি করেই বা এত অর্থের মালিক হয়ে গেলো ? কি করে তার সাথে এত নেতা আর নেত্রীর জোগ-সাজগ হলো ? পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা তার অস্ত্র ব্যাবসার নেট ওয়ার্ক,আদ্ম ব্যাবসা, তার প্রতিষ্ঠান DATCO আর DONGHA COMPANY’এর ভেতরের খবর , তার আদম পাচারের উপাখ্যান , এ সবই আমি ধীরে ধীরে সামনের পর্ব গুলোতে আরো আলোচনা করব নুলা মুসার উত্থান , তার সম্পদের বিবরণ , কি করে এই দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক,পুলিশ, সেনাবাহিনীকে এই ধনকুবের কুত্তার বাচ্চা রাজাকার কিনে ফেলেছে সেই কাহিনী । আমি যতটুকু সংগ্রহ করতে পেরেছি ।আমি বলার চেষ্টা করব সব ।

এই পর্ব শেষ করবার আগে আপনাদের কাছে কয়েকটি কথা জানতে চাই সবিনয়ে । আচ্ছা বলেনতো যেই লোক ১৯৭১ সালে আমাদের বোন-মা কে ধর্ষন করে , উলংগ করে, আমাদের বাপ-চাচা-ভাইদের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলেছে সে কি করে এই দেশে দিব্যি বেঁচে থাকে ? ছবিতে নুলা মুসা তার মেয়েটির সাথে বসে আছে। অথচ এই লোকটিই ঠিক ৩৯ বছর আগে এই বয়সী মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষন করত আর পাকি হানাদারদের কাছে দিয়ে আসত । যেই লোকটি এত অপরাধ করেছে তার মেয়েরই সাথে আবার বিয়ে হচ্ছে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পতাকাবাহি শেখ সেলিমের ছেলের । তার বড় ছেলে ববি হাজ্জাজ অক্সফোর্ড থেকে পড়ে যায়, ছোট ছেলে ব্যারিস্টার হয়ে যায় লন্ডন থেকে । কি করে তা সম্ভব হয় ? এই বাক-বাকুম করা সরকার কি নুলা মুসার একটা বাল ছেড়ার মত ক্ষমতা রাখে ? কেউ কি আছে শুধু এক্টিবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিতকার করে বলবে , “নুলা মুসা খাঙ্কির পোলা । তোর মায়েরে বাপ । শুয়োরের বাচ্চা , বাইর হ ঘর থেইকা ”

নাকি আমার মত আপ্নাদেরও কি মুখ ফসকে বের হয়ে যায়, “বালের দুনিয়া ?????”

চলবে…
nijhoom.blogspot.com