খুব শিগরই নৌ-সেক্টরে পরিবর্তন আসছে -নৌপরিবহন সচিব

এম.মিরাজ হোসাইন, বরিশাল ॥ নৌপরিবহন সচিব আঃ মান্নান হাওলদার বলেছেন, সরকার দেশের সড়ক পথে যে পরিমান টাকা ব্যয় করেছে তার সিকিভাগও যদি নৌপথে ব্যয় করা হতো তাহলে রাস্তা নির্মানের কবল থেকে দেশের অনেক জমি রক্ষা পেতো। নৌপথে ব্যবসায়ীরা দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে সহজে পণ্য পরিবহন করতে পারতো। কিন্ত রহস্যজনক কারনে বিগত সরকারের কেউ নৌপথকে গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমান সরকার নৌপথ রক্ষার জন্য গত ২ বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করেছে।

গতকাল শনিবার নৌ-সচিব বরিশালে সফরকালে স্থানীয় লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় লঞ্চ মালিক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদীতে ড্রেজিংয়ের পলি আবার নদীতে ফেলার বিষয়টি সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ড্রেজিংয়ের পলি নির্ধারিত স্থানে ফেলে জমানো পলি নিচু জমি ভরাটকারীদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেন। এছাড়া ড্রেজিং কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য মনিটরিং কমিটিতে লঞ্চ মালিক ও সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখার নির্দেশ দেন নৌসচিব।

বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচলে লঞ্চ মালিকদের রোটেশন প্রথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মালিকদের সঙ্গে একসভায় প্রতিটি রুটে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৪টি লঞ্চ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লঞ্চ মালিকদের হুশিয়ারী করে দিয়ে বলেন, খুব শিগগিরিই নৌ-সেক্টরে অনেক পরিবর্তন আসছে। প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হলে যাত্রী সেবায় লঞ্চ মালিকদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।

অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার বরিশাল অঞ্চল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক আক্কাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিমিয় সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. মোঃ শামসুদ্দোহা খন্দকার, পরিচালক মাহবুবুল আলম, প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদ ও অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল প্রমুখ।

এর আগে নৌসচিব নির্মিতব্য আধুনিক নৌবন্দর প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে পিপিএম অনুযায়ী কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। এনিয়ে কোন ধরনের গাফেলতি করা হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।