সাংবাদিকদের জন্য শিশুপাতা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মামুনুর রশীদ নোমানী, বরিশালঃ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা নিজ নিজ পত্রিকায় প্রতি সপ্তাহে/পাক্ষিকে/মাসে নিয়মিতভাবে শিশুদের জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘শিশুদের জন্য পাতা’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা আজ (২৩ অক্টোবর ২০১১, রবিবার) এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পিআইবি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে শিশুদের অমিত সম্ভাবনাকে জাগ্রত করতে শিশুদের মতামত প্রকাশের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তারা আরো বলেন, আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলো দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলোকে শিশুদের মতামত প্রকাশের জন্য পর্যাপ্ত স্পেস বরাদ্দ দিতে হবে।

কর্মশালায় ‘শিশু অধিকার ও গণমাধ্যম : বাংলাদেশে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

ড. জাহাঙ্গীর মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে গণমাধ্যমগুলোকে আরো স্পেস ও সময় বরাদ্দ দেয়া উচিত। গণমাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুদের স্থান করে দেয়া হয়। বঞ্চিত শিশুদের উপস্থিতি অনেকক্ষেত্রেই ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয় না। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলো দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিশুর জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।

সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মেম্বার সার্ভিস এর পরিচালক এরিকা খেতরান মুল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, পরিবারের বাবা-মায়ের পরেই শিশুর জ্ঞান বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গণমাধ্যম। শিশুরা নিজেদের মত করে মতামত প্রকাশ করতে চায়। আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলো শিশুদের ভাবনাগুলো প্রকাশ করে তাদের জ্ঞানচর্চার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
কর্মশালায় দেশের ৭টি জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার ২৭ জন সম্পাদক অংশ নেন। সম্পাদকরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শিশুদের সংবাদ প্রকাশে পৃথক পৃষ্ঠা বরাদ্দের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী কর্মশালার আরো বক্তব্য রাখেন প্রতিভা প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর কাজী এমমাদুল হক, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ জেড এস সাখাওয়াত হোসেন এবং পিআইবি প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
কর্মশালাটি সমন্বয়কারী দায়িত্ব পালন করে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান ও সেভ দ্যা চিলড্রেনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবেদাতুল ফাতেমা।