উজিরপুরে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে বিপাকে পরেছেন দোকান মালিক

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ এ যেন এক মগের মুল্লুক। জোড় যার মুল্লুক তার। এক ভাই সরকারি দলের ক্যাডার। নিজেও মহাজোটের শরীক দলের কর্মী। তাই এখন তারা যা বলবে তাই হবে। দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ঘর মালিককে ঘর ভাড়া না দিয়ে নিজেই ঘরের মালিক সেজেছে। এ হলো বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরে আঃ করিম খান ওরফে বধুয়া করিমের ক্ষমতার দাপট। ঘরের মালিক ঘর ফেরত চেয়ে শিকারপুর বন্দর কমিটি ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোন সুফল পায়নি। অসহায় দোকান মালিক এখন পথে পথে ঘুড়ছে। করিম ও তার ভাই আউয়াল কাউকে তোয়াক্কা করছে না।

জানা গেছে গত বছরের ২০ ফেব্র“য়ারী উজিরপুর উপজেলার হস্তিশুন্ড গ্রামের আঃ রশিদ ফরাজী শিকারপুর বন্দরে সরকারি জমিতে তার নির্মিত একটি দোকানঘর ষ্ট্যাম্পে চুক্তি করে লিখিতভাবে শিকারপুর এলাকার ওয়াজেদ আলীর পুত্র আঃ করিম খানের কাছে ৯ শত টাকা মাসিক ভাড়া দেয়। এক পর্যায় আঃ রশিদের পুত্র ফুয়াদ ফরাজী বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে ওই দোকান ঘরটি শিকারপুর বন্দরের স্বর্ন ব্যবসায়ী ও মোড়াকাঠী গ্রামের আজিজ রাড়ীর পুত্র মামুন হোসেন রাড়ীর কাছে চলতি বছরের ১৪ মার্চ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করে দেয়। মামুন রাড়ী দোকানঘরের ভাড়া আনতে গেলে করিম তাকে ভাড়া দিতে অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে দোকানঘর নিজের বলে দাবী করে। এমনকি মামুন রাড়ীকে নানাভাবে হুমকী দেয় করিমের ভাই আউয়াল।

এ ঘটনায় মামুন রাড়ী শিকারপুর বন্দর কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম সরদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে করিম তা তোয়াক্কা করছে না। দোকান ঘরের সাবেক মালিক আঃ রশিদ ফরাজী অভিযোগ করেন করিম গায়ের জোড়ে তার দোকান ঘরটি বর্তমানে গ্রামীন ফোনের কাস্টমার কেয়ার দখল করে রেখেছেন। এমনকি তাকেও নানাভাবে হয়রানী করছে। মামুন রাড়ী জানিয়েছেন টাকা দিয়ে ব্যবসা করার জন্য দোকান ঘর ক্রয় করে এখন প্রাণ নাশের হুমকী শুনতে হচ্ছে।

এ দিকে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম সরদার জানিয়েছেন শিকারপুর বন্দরের মামুন রাড়ী তার কাছে গ্রাম্য আদালতে দোকানঘর উদ্ধারের জন্য আঃ করিম খানকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ৩১/২০১১। প্রথম দফায় বিবাদী করিম খান উপস্থিত হয়নি।