ফ্রিল্যান্সিং বা কর্মসংস্থানে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে কাজের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের কাজের দক্ষতা দিয়ে জড়িত হওয়া যায় ফিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের বিশাল বাজারে। অনলাইনে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি এ সংক্রান্ত যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন।

এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী না হলেও অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো সহজেই করতে পারবেন। ফলে যে কেউ এই ধরনের কাজ করে ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারেন। তবে ইন্টারনেট ভিত্তিক অনলাইনে কাজ করতে হলে, সামান্য হলেও আইসিটি জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আইসিটি জ্ঞান সম্পন্ন যুব সমাজের কাছে বর্তমানে অতি জনপ্রিয় একটি নাম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্বতন্ত্রভাবে পূর্বনির্ধারিত কোন কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি যিনি ফ্রিল্যান্সিং করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা(২৪/৭) তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারের কাজ স্বীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত নয়। মোট কথা স্থান, কাল পাত্র বিবেচনায় না এনে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পূর্বনির্ধারিত কোন কাজ সম্পাদনের জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ হওয়া।

এখন কথা হচ্ছে আউটসোর্সিং কী? আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির মাধ্যমে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিং কেন করা হয়? আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য। তবে কখনো কখনো পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন কোন দেশ থেকে করিয়ে আনাকে বলা হয় অফশোর আউটসোর্সিং।

প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো অফশোর আউটসোর্সিং এর মাধ্যমেই বেশি করা হয়। যেসকল দেশ এই ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ব্রাজিল, ইউক্রেইন, আর্জেন্টিনা, চীন, পানামা, ফিলিপিনস, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্থান, রোমানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, নেপাল, মিশরসহ আরো অনেক দেশ। ইন্টারনেট নির্ভর আইসিটি সংশ্লিষ্ট আউটসোর্সিং ভিত্তিক কাজকেই আমরা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং বলতে পারি।

ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি কম্পিউটার থাকলেই আপনি যেকোন জায়গাতে বসে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। তা হতে পারে প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, টেকনিকাল সাপোর্ট অথবা কোন ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা। তবে কাজের ধরণ ও কাজ পাবার জন্য ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সম্পর্কে সাম্যক পূর্ব ধারনা থাকা প্রয়োজন।

ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিং এর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। সকল মার্কেটপ্লেস এর ফিচার/সুবিধা/অসুবিধা/সীমাবদ্ধতা এক ও অভিন্ন নয়। কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে- ওডেস্ক ডট কম (www.odesk.com), ফ্রিল্যান্সার ডট কম (www.freelancer.com), ভিওয়ার্কার ডট কম (www.vworker.com), ইল্যান্স ডট কম (www.elance.com), গেট-এ-কোডার ডট কম (www.getacoder.com), স্ক্রিপ্টল্যান্স ডট কম (www.scriptlance.com), থিম ফরেস্ট ডট নেট (www.themeforest.net), গ্রাফিক রিভার ডট নেট (www.graphicriver.net) এবং একটিভ ডেন ডট নেট (www.activeden.net)। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার, প্রভাইডার, সেলার অথবা কোডার।

এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করেন তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার, প্রভাইডার, সেলার অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে কোডার। একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করতে পারেন, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় কাজের ধরণ বুঝে ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবেন তা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উল্লেখ করে থাকেন। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করেন কাজটি করার জন্য। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, বিডে উল্লেখ করা টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সারের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা ভালভাবে না জানার কারণে অনেকে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন না। এরকম কয়েকটি বিষয় হলো-

প্রথমত, রেটিং (Rating) – একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট কাজের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রোভাইডারকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং করে থাকেন। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০ এবং সর্বনিম্ন রেটিং হচ্ছে ১। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় ১০ রেটিং পাওয়ার জন্য প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট পরিপূর্ণভাবে এবং দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা উচিত।

দ্বিতীয়ত, রেংকিং (Ranking) – একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সকল প্রোভাইডারের মধ্যে একজন নির্দিষ্ট প্রোভাইডারের অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে। সাধারণত একজন প্রোভাইডারের গড় রেটিং এবং সে কত বেশি ডলারের কাজ করেছে তার উপর ভিত্তি করে রেংকিং নির্ধারণ করা হয়। রেটিং এর মত রেংকিংও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে তত বেশি।

তৃতীয়ত, ডেডলাইন (Deadline) – প্রত্যেক প্রজেক্ট/কাজ শেষ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ডেডলাইন দেয়া হয়ে থাকে। এই সময়ের পূর্বে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হয়। কোন প্রোভাইডার যদি ডেডলাইনের পূর্বে কাজ শেষ করতে না পারে তাহলে বায়ার ইচ্ছে করলে তাকে কোন পরিশ্রমিক না দিয়ে সম্পন্ন কাজটি নিয়ে যেতে পারে। একইসাথে ক্লায়েন্ট সেই প্রোভাইডারকে একটি নিম্নমানের রেটিং দিয়ে দিতে পারেন। তাই কোন প্রজেক্টের ডেডলাইন সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম মনে হলে কাজ শুরুর পূর্বেই বায়ারকে অনুরোধ করে বাড়িয়ে নেয়া উচিত।

ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর বায়ার বা ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (এস্ক্রো স্বাধীন ও বিশ্বস্ত তৃতীয় পক্ষ/মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তহবিল সংরক্ষণ করে এবং চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষের শর্ত পূরণ স্বাপেক্ষে ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তা যথাসময়ে হস্থান্তর করে থাকে) নামক একটি একাউন্টে জমা করে রাখেন, যা কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। ক্লায়েন্ট কর্তৃক টাকা এস্ক্রোতে জমা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর কাজটি শুরু করা যেতে পারে। কাজ শেষ হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে/মার্কেটপ্লেসে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে নির্ধরিত একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করেন। সাথে সাথে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইট/মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এসময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের বিনিময়ে পূর্বনির্ধারিত পারিশ্রমিকের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১% থেকে ১৫% পর্যন্ত) মধ্যস্থতাকারী ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যস্থতাকারী সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে থাকেন। সাধারনত, অর্থ উত্তোলনের কাজটি চেকের মাধ্যমে, পেওনার (Payoneer) ডেবিট মাস্টারকার্ড, মানিবুকার্স (Moneybookers), ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ওয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer) এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। একটি প্রজেক্ট চলাকালীন সময় বায়ার এবং প্রোভাইডারের মধ্যে কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য মেডিএশন/আর্বিট্রেশন এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই পদ্ধতিতে সাইটের যথাযথ কতৃপক্ষ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে এবং সমাধানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

আমার জানামতে, আমাদের দেশে কতজন ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং কাজের সাথে জড়িত তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান এখনও পর্যন্ত নেই। ইন্টারনেটে কে কোথা থেকে কাজ পাচ্ছেন তা জানাটাও দুরূহ বটে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেকে নিজেদের প্রোফাইল প্রাইভেট করে রাখেন যা শুধুমাত্র একজন ক্লায়েন্টই দেখতে পারেন, অনেকে আবার ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরিও কাজ করে থাকেন। ইন্টারনেটের গতি, ইন্টারনেটে আর্থিক লেনদেনের সীমাবদ্ধতা, পেপাল কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং তেমন এগিয়ে যেতে পারছে না। তবে আশার কথা এই যে, ইন্টারনেটে আর্থিক লেনদেনের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গত ৩০ মে, ২০১১ তারিখে বাংলাদেশ ব্যংক হতে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারী করা হয়েছে। কোরিয়াতে যেখানে ইন্টারনেটের গড় গতি ১০০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড সেখানে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি এখনও কিলোবাইটে উঠানামা করে। আবার খেঁটেখুটে কাজ করার পর ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে পেমেন্ট পেতেও ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয় ইন্টারনেটে আর্থিক লেনদেনের সীমাবদ্ধতার কারণে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এদেশে ফ্রিল্যান্সাররা আজ আউটসোর্সিংয়ের জগতে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করছে।

বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির উপায়। দেশের দক্ষ ও বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জনশক্তিতে পরিণত করতে এটি হতে পারে একটি সহায়ক নিয়ামক। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে দেশে পেপাল সার্ভিস চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনকরা আবশ্যক, ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধিসহ আরো সহজলভ্য করতে হবে। যে সকল যুবক/যুবতি/ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহী তাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, প্রাথমিক অবস্থায় অনলাইনে কাজ পাওয়াটা সহজ নয়। ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ এখানে আপনাকে বিভিন্ন দেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রতিযোগিতা/বিড করে কাজ আনতে হবে।

আত্মবিশ্বাসী, প্রত্যয়ী ও সমসাময়িক তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা সম্ভব।


[লেখকঃ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রোগ্রামার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।