আদালতে জাল টাকা উপস্থাপনের অভিযোগে কাঠালিয়ার ওসিসহ দারোগাকে আদালতে তলব

আহম্মেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি : আদালতে জাল টাকা উপস্থাপনের কারনে কাঠালিয়া থানার ওসিসহ দারোগাকে আগামী ১৫ নভেম্বর জেলা জজ আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার মালখানায় আসল টাকা জমা রাখলেও আদালতে নকল টাকা আলামত হিসেবে উপস্থাপন করেছে পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, কাঠালিয়া উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহনের মামলায় সাবেক এসআই আবুল হোসেন স্বাক্ষি দিতে এলে গত বুধবার নকল টাকা আলামত হিসেবে উপস্থাপন করা হলে বিষয়টি আদালতের গোচরিভূত হয়।

এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিজেই এ টাকা হাতে নিয়ে গভর্নরের নামে গড়মিল দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। ২০০৭ সনে শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার জব্দ করা টাকায় বর্তমান গভর্নরের নাম  দেখে মামলার আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন বিচারক। তাৎক্ষনিক ভাবে আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক আগামী ধার্য্য তারিখে জব্দকৃত আসল টাকা উপস্থাপন নতুবা কাঠালিয়া থানার ওসিসহ মালখানার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উপস্থিত হয়ে এব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।
অপরদিকে নকল টাকা জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গন এবং আইনজীবী মহলে চলছে তোলপাড়। মামলার স্বাক্ষি ও আইনজীবী সূত্র জানায়, ২০০৭ সনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকাকালীন ১৩শ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় সেনাবাহিনী কাঠালিয়ার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মনি লাল সিকদারকে হাতেনাতে আটক করে।

গত বুধবার এ মামলায় জব্দ করা ১৩শ টাকার (দুটি ৫শ টাকা এবং তিনটি ১শ টাকা) সিলগালা খামটি আদালতে উপস্থাপন করা হয় আলামত হিসেবে। তখন আদালতে মামলার স্বাক্ষি হিসেবে কাঠালিয়া থানার সাবেক মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হোসেন সরবরাহকৃত খাম থেকে এ টাকা বের করে উপস্থাপন করেন। বিচারক টাকা হাতে নিয়ে দেখেন নাম্বার ঠিক থাকলেও উক্ত টাকার গায়ে ২০০৭ সনের গভর্নর সালেহ আহমেদ’র নাম নেই। সেখানে লেখা বর্তমান গভর্নর আতিয়ার রহমান এর নাম। এতে বিচারক বিস্ময় প্রকাশ করেন।

তাই আগামী ধার্য্য তারিখ ১৫ নভেম্বর কাঠালিয়া থানার ওসি ও বর্তমান মালখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মান্নানকে জব্দকৃত আসল টাকা আদালতে উপস্থাপন নতুবা উপস্থিত হয়ে এব্যাপারে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেন।