বানারীপাড়ায় প্রভাব বিস্তারের খেসারত!

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গুছ প্রক্রিয়ার বেড়াজালে আটকে রয়েছে বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি ভবন নির্মাণের ৭৪ লাখ টাকার কাজ। ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কালো থাবায় ১ মাস ৫ দিন যাবৎ কাজটি আটকে পড়ে আছে বানারীপাড়ার এলজিইডি দপ্তরে। ফলে দরপত্র ক্রয়কারীদের পে-অর্ডার বাবদ যেমনি গুণতে হচ্ছে সুদের টাকা তেমনি কাটছে না তাদের গুছ প্রক্রিয়ার আতঙ্ক। জানা গেছে, বাইশারী স্কুলের ভবন নির্মাণের দুই গ্র“পের এই কাজটি দীর্ঘদিন যাবৎ আটকে আছে ক্ষমতাসীন দলের তোপের কারণে। কাজটির (গ্র“প নং ডঙ.৫.১১/ডঙ.৫.১২, প্রকল্পের কোড নং বানারীপাড়া এচঝ, জজচ, যার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নং ০১/২০১১-১২)। প্রত্যেকটি থানা পর্যায়ে স্কুলগুলোর নতুন ভবন নির্মাণের কাজের ধারাবাহিকতার এটি একটি। সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে উল্লেখিত গ্র“প ২টির টেন্ডার ড্রপ করা হয়েছে। কাজটির লাস্ট সেলিং ডেট ছিল ১৯ অক্টোবর। দরপত্র মূল্য ছিল ১ হাজার + ১ হাজার করে ২ হাজার টাকা। সাধারণত টেন্ডার ড্রপিং এর দিনই টেন্ডার ওপেন করে সিএইচ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লটারী করা হয়ে থাকে। কিন্তু অদ্যাবদি টেন্ডার ওপেনিং না হওয়ায় কাজটি গুছ প্রক্রিয়ার আশংকা করছেন দরপত্র ক্রয়কারীরা। এক্ষেত্রে দরপত্র ক্রয়কারী সাধারণ ঠিকাদাররা জানিয়েছেন, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সভাপতি কাজটি বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করায় এটি স্থগিত হয়ে আছে। এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করে চলে এসেছেন। তবে তিনি টেন্ডারটি রেজুলেশন করে লটারির প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। বাকিটা সহঃ ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ ভাল বলতে পারেন বলে জানান তিনি। পরে রাশেদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মাত্র ২ দিন হয়েছে এসেছি। তবে আপনি নিশ্চিত থাকেন অফিসিয়াল সিষ্টেমের বাইরে কোন অনিয়ম করা হবে না।