বরিশালে বেড়েই চলছে ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতন

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশালে ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২টি ধর্ষণ এবং ১৩ জন নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির রেজিষ্ট্রার সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আরো জানা গেছে, ভোলা, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বরগুনাসহ অন্য এলাকাগুলো থেকে প্রতিদিন ধর্ষণ ও পারিবারিক কলহে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয় বেশি। এর মধ্যে স্বামীর সাথে ঝগড়া জনিত কারণে বিষপান করে, শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে শেবাচিমে ভর্তি হয়। গতকাল বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে ৮ মাসের গর্ভবতী রূপাতলীর রিকশাচালক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেনিজ বেগম তার সাথে রাগ করে ইঁদুরের বিষ টোপ সেবন করে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন। এছাড়া প্রেমঘটিত কারণেও উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী, স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া সংক্রান্ত ঘটনা, স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টায় মুমূর্ষু অবস্থায় এমনিক প্রতিবন্ধী নারীরাও ধর্ষিত হয়ে ওসিসিতে ভর্তি হয়। বরিশাল নগরীর নতুনবাজার ফরেস্টার বাড়িতে এবং কাউনিয়া এলাকায় ২ মাসে পরকীয়া জনিত কারণে ৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। শেবাচিমের ফিমেল সার্জারী, ফিমেল মেডিসিন এবং ওসিসি সূত্রে ভর্তিরতদের সাথে কথা বললে নেপথ্যের কারণ হিসেবে এমন চিত্রই বেশি দেখা যায়। জমি সংক্রান্ত বিবাদে আহত নারীদের দেখা গেলেও তবে সংখ্যায় কম। জরুরি বিভাগের ভর্তি রেজিস্ট্রার বিবরণীতে সম্প্রতি আগৈলঝাড়ার গৈলার তানিয়া (২০) স্বামী শহীদুল ইসলাম এবং উজিরপুরের গাবায় লায়লা (১৭) পিং কালু বেপারী ধর্ষিত হয়ে ওসিসিতে রয়েছে। পুলিশ কমিশনার সৈয়দ তৌফিক আহম্মেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। তাছাড়া পারস্পরিক বিশ্বস্ততা এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধ আরো বাড়তে না পারলে এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা দূর করা সম্ভব হবে না।