বিসিসির ওয়ার্ড সচিব নিয়োগে লুকোচুরির অভিযোগ

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড সহকারী (সচিব) কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা। খোদ কমিশনারদের যোগসাজশেই চলছে এই নিয়োগ কার্যক্রম। এমন অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীদের অনেকেই। গত ১৪ অক্টোরবর জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এরই মধ্যে অনেকে তাদের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। গতকাল ২০ অক্টোবর ভাইবা পরীক্ষাও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এরই মধ্যে জাল সার্টিফিকেট সন্দেহে একজনের সার্টিফিকেট চেক করার জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। কেউবা সার্টিফিকেটে তাদের বয়স না থাকায় জাল সার্টিফিকেটের এই কৌশল গ্রহণ করেছেন। এ ধরনের কৌশল সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কমিশনারদের নখদর্পণে থেকেই সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এক্ষেত্রে অভিযোগকারী সূত্র বলছে, সংশ্লিষ্ট কমিশনার জাল সার্টিফিকেটের এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। কারণ হিসেবে সূত্র জানিয়েছে, বিগত দিনে এসব আবেদনকারীরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়েছে। যে কারণে সবকিছু জেনেও তারা কিছুই না জানার ভান করে। পাশাপাশি উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ তো রয়েছেই। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ অভিযুক্তরা হচ্ছেন, ৬ নং ওয়ার্ডে আবেদনকারী মো. কাওসার হোসেন, এনায়েতুল্লাহ স্কুল এরিয়ার ভোটার তালিকা অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৫ ফেব্র“য়ারি ১৯৭৭ (সিরিয়াল নং ০৯)। অপর অভিযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন ৫নং ওয়ার্ডের শাহীন ব্যাপারী। ভোটার তারিকানুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬ (সিরিয়াল নং ১২৮)। ৬নং ওয়ার্ডের আবেদনকারী কাওছার হোসেন তার চাকুরির বয়সসীমা ৩০ অতিক্রম করে ৩৪ বছরে পেরিয়েছে। অপর অভিযুক্ত ব্যক্তি ৫নং ওয়ার্ডের শাহীন ব্যাপারীও ভোটার তালিকার বয়স অনুযায়ী ৩৫ অতিক্রম করেছে। এর বাইরেও একাধিক ব্যক্তির জাল সার্টিফিকেট নিয়েও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। যা প্রয়োজনীয় তথ্যের কারণে প্রকাশ করা হয়নি। তবে অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কাউন্সিলরগণ এসব ঘটনা ওয়াকিবহাল থেকেই ঘটিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, এমন একটি অভিযোগ তারাও পেয়েছেন। তারা অভিযুক্তের সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করে দেখছেন। এর বাইরে যদি কারো অভিযোগ আসে তবে অবশ্যই তিনি তা যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অভিযুক্ত শাহীন ব্যাপারীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আপনাকে কেন বলবো আমার সার্টিফিকেটের বিষয়ে? পরে তার বয়স সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন। অপর অভিযুক্ত কাওসার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।