বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সিদ্ধান্ত

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মন ভেঙ্গে যেতে বসেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দদের। জেলা ছাত্রলীগের ৩টি ও মহানগর ছাত্রলীগের ৩টি মোট ৬টি পদে নেতৃত্ব সিলেক্ট করা হয়েছে গত ৯ জুলাই। কিন্তু বাকি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে এখন কেবলই হতাশা বিরাজমান। তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি চায়। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল আ’লীগের ক্ষমতার ৩য় বছরেও পদ পদবী না পেয়ে হতাশ নেতৃবৃন্দদের অনেকেই। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে চলছে এখনও জল্পনা কল্পনা। ফলে ছাত্রলীগ নামক এই সংগঠনটির কার্যক্রম চলছে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে। স্পৃহা হারাতে বসেছে ছাত্রলীগ। তবে এক্ষেত্রে সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের একটি সূত্র জানিয়েছে, বায়োডাটা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ তাদের জীবন বৃত্তান্তে ছল-চাতুরির কৌশল গ্রহণ করায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। জালিয়াতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভুয়া প্রত্যায়ন পত্র দাখিল। তবে ৭ শতাধিক জীবন বৃত্তান্ত থেকে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং তাদের অভিভাবকদের সমন্বয়ে ১শ’ ১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কোরবানির পর পরই গঠন করা হবে। এমন আশ্বাস দিয়েছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন ভূঁইয়া। মিলন ভূঁইয়া জানান, আশা করি কোরবানির পর পরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। ছাত্রলীগের মধ্যে হতাশা বিষয়ক আলোচনায় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মাঠে রাজনীতি করে এখন পর্যন্ত নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক পরিচয় দিতে পারছে না। সত্যিই বিষয়টি দুঃখজনক। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত জানান, আমাদেরও দাবি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য মেয়র মহাদয়ের নিকট অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান কেন যেন এই মুহূর্তে করা যাবে না বলে জানিয়েছেন। তবে খুব শীঘ্রই সেক্রেটারিসহ সম্মিলিতভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম দেওয়ান জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হলে কর্মীরা তাদের স্পৃহা হারিয়ে ফেলবে। এ বিষয়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দরাই ভাল জানেন। তবে কর্মীদের ন্যায় আমিও চাই শীঘ্রই কমিটি বিষয়ক একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। নতুবা মোট ৬ জন নতুন নেতৃত্বের দ্বারা ছাত্রলীগের মত এতো বড় জোরদার সংগঠনটি করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।