ঠাঁই নেই বরিশাল মেট্টো মালখানায়

শাহীন হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ লোকবল অভাব, জায়গার স্বল্পতা এবং অব্যাবস্থাপনা সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বরিশাল মেট্টো মালখানা। মাত্র ১টি কক্ষ নিয়ে ২০০৭ সালে শুরু করা হয়েছিলো মেট্টো মালখানার কার্যক্রম। বর্তমানে একজন এসআই এবং দুইজন কনস্টেবল এর দায়িত্বে আছেন। সূত্র জানায় কয়েক হাজার মামলার প্রায় কোটি টাকার আলামত নষ্ট হচ্ছে এই মালখানায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে। প্রয়োজনের তুলনায় জায়গার সংকুলান না হওয়ায় যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে মালামাল। এছাড়া জায়গার অভাবে বহু মূল্যবান মালামাল বাইরেও ফেলে রাখা হয়েছে। মেট্টো মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোঃ আব্দুর হামিদ জানান, মামলার নিস্পত্তি হওয়ার পরেও মালামালের কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনে দিনে মালখানার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। তিনি জানান নিয়ম হলো যে কোন মামলার নিস্পত্তি হলে ওই মামলার আলামত ধ্বংস করা নতুবা নিলামে বিক্রি করা। কিন্তু বিগত কয়েক মাসে অর্থাৎ জানুয়ারী মাসের ১তারিখ আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তেমন কোন আলামতই ধ্বংস করা হয়নি। কিংবা নিলামও দেয়নি। বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মামলার আলামতের বিষয়ে মামলঅর জজমেন্ট কপি না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ফলে মালামাল মালখানায়ই পড়ে থাকছে। গত এক সপ্তাহে ৪শ মামলার লিস্ট দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার ফলাফল শূন্য। কিছুতেই কিছু কাজ হয় না। বর্তমানে প্রায় ৩শ অস্ত্র, ৪০-৫০টি মোটর সাইকেল, কয়েকটন গাঁজা, কয়েক হাজার বোতল ফেন্সিডিল, হিরোইনসহ নানাবিধ মামলার আলামত রয়েছে। নেশা জাতীয় দ্রব্য ধ্বংস করাহলেও বাকি সম্পদ যথাসময়ে নিলামের মাধ্যমে সরকার মুনাফা অর্জন করতো তবে ব্যবস্থাপনার অভাবে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার এই রাজস্ব আয় থেকে। এমন অভিমতের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোঃ হামিদ জানান, এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় একাধিকবার লেখালেখি হয়েছে কিন্তু সরকারের টনক নড়েনি।  আমরা জেলা প্রশাসককেও বারবার অবহিত করেছি, মেট্টো মালখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য। কিন্তু তাতেও কোন ফলাফল হয়নি। বিষয়টি এখন সরকারকে মাল দরিয়া মে ঢাল অবস্থায় ঠেকেছে। মেট্টো মালখানার বিষয়ে অচিরেই পদক্ষেপ না নিলে কোটি টাকার সম্পদ পুরোপুরিই নষ্ট হবে। পাশাপাশি সরকার বঞ্চিত হবে রাজস্ব আয় থেকে। এজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।