সুলতান কই? অরে দিয়া কোরবানি দিমু

মিজানুর রহমান, বাউফল ॥ সুলতান কই? অরে দিয়া কোরবানি দিমু এই কথা কইয়া ঘর দুয়ার কোপাইতে থাকে চেয়ারম্যানের (ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সুলতান কই?হোসেন) সন্ত্রাসীরা। বাড়ির  লোকজন দৌড়াইয়া ঘরের মাচায় (উপরের পাটাতনে) উঠলে সেখানে গিয়া কোপাইয়া আমার ছেলে মানিক, বশার, নাতি শিরিনা ও হানিফারে বেহুশ করিয়া চলিয়া যায়। পরে বাড়ির আশেপাশের মানুষজন আইয়া হাসপাতালে লইয়া যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সরেজমিনে গেলে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুলতান গাজীর স্ত্রী হেলেনা বেগম।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দাশপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষ অবলম্বন না করার জের ধরে উপজেলার বাহির দাশপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে ওই চেয়ারম্যানের ছেলে রায়হান, ভাই ধলু আকন, রশিদ আকনের নের্তৃত্বে প্রায় ১৬/১৭ জন লোক নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউপি সদস্য সুলতান গাজীর বাড়ির দুইটি ঘর কুপিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে একজন নারীসহ চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের মহরা চলছে বলে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সুলতান গাজী জানান।
 

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একই এলাকার ইউনুচ বেপারির সঙ্গে সুলতান গাজীর নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। ওই ঘটনা নিয়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ  হয়েছে। তার পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরেশ চন্দ্র কর্মকার জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর- আজকের বরিশাল ডটকম