শেখ হেলালের জেল… একটি অনুমান নির্ভর খবর! WatchDog

আমার উর্বর মস্তিষ্ক অবশ্য ঘন ঘন ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক সিগন্যাল পাঠিয়ে যা বলার চেষ্টা করছে তার সারমর্ম করলে যা দাঁড়ায় তা হল;

১) কিছুটা হলেও চক্ষু লজ্জায় ভুগছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। উনার মামলাগুলো ফুটন্ত ফুল হতে পাপড়ির মত ঝরে পরছে, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মামলাগুলো তরতাজা গোলাপের মত নতুন করে উজ্জীবিত করা হচ্ছে।

২) ইয়াতিমদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাথে দুদক অনেকদিন ধরেই প্রেমপত্র চালাচালি করছে বিনা সাফল্যে। মনে হচ্ছে দুদককে গ্রীন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হতে। এ ব্যাপারে হয়ত বড় ধরনের একশ্যানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। হয়ত শেখ হেলালকে বানানো হয়েছে বলির পাঠা। সন্দেহ নেই এখন হতে প্রধানমন্ত্রী বড় গলায় বলতে পারবেন, ‘হে আমার মুমিনগণ, তোমরা দেখ আমার আমলের আইনী দুনিয়া কতটা স্বাধীন, আমার ভাইকে পর্যন্ত রেহাই দিচ্ছেনা‘। তবে সবটাই ‘হয়ত‘ বলয়ের প্রডাকশন, বাস্তবে এমনটা হতে যাচ্ছে এর কোন বাধ্য বাধকতা নেই।

তবে এত ভারাক্রান্ত খবরের মাঝেও কিন্তু কিছু ভাল খবর আছে। শেখ হেলালকে স্বপরিবারে শিকদার মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা যারা রাজনীতিবিদ্‌দের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে পরিচিত তাদের অনুমান করতে অসুবিধা হয়না আগামীকাল কি ঘটতে যাচ্ছে জনাব হেলালের ভাগ্যে। বেইল না পাওয়া পর্যন্ত উনার ব্লাড প্রেশার থাকবে ২০০ এবং ৩০০’র ভেতর, বহুমূত্র রোগে হয়ে যাবেন মৃত্যু পথযাত্রী, চলে যাবেন আন্ধা হওয়ার শেষ পর্বে। মিথ্যাচারের বিশাল এক ম্যারাথন পারি দিয়ে অতি অল্প সময়েই সসম্মানে ফিরে আসবেন মেইনষ্ট্রীম পলিটিক্সে। এ ফাঁকে ওনার বায়োডাটায় যোগ হবে নতুন একটা অধ্যায়, – তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক নির্যাতিত।

শিকদার মেডিক্যালের হানিমুন পর্বটা জনাব শেখ হেলালের ভাল কাটুক এমনটাই কামনা করছি।

> লেখাটির সম্পূর্ন দায়দ্বায়িত্ব ওয়াচডগ – আমি বাংলাদেশী