প্রচন্ড তাপদাহে কদর বেড়েছে তাল শাঁসের – বিক্রি হচ্ছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে

গৌরনদী॥ প্রচন্ড তাপদাহে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গত কয়েকদিন থেকে বরিশালের গৌরনদীতে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই তীব্র তাপদাহের মাঝে একটু স্বত্তি পেতে শৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের কাছেও মধু মাসের ফল তাল শাঁসের কদর বেড়ে গেছে বহুগুন।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা এখন হরদমে বিক্রি করছেন তাল শাঁস। কোন কোন বিক্রেতা ভ্যানযোগে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে তাল শাঁস বিক্রি করছেন। গৌরনদী, আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাল শাঁস ক্রয় করে পৌর শহরে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করছেন এখানকার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন।
দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের তাল শাঁস বিক্রেতা কদম আলী জানান, প্রতিবছর মধুমাসে সে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি দামে তাল শাঁস ক্রয় করে পৌর শহরে বিক্রি করে আসছেন। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় উপজেলার অসংখ্য তাল গাছ বিনষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া চলতি মৌসুমে তালের ফলন কম হওয়ায় উপজেলার সর্বত্র তাল শাঁসের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চড়া মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও সে উল্লে¬খ করেন। বর্তমানে প্রতিটি তাল শাঁস ৪ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করে প্রতিদিন সে আড়াই থেকে তিন’শ টাকা আয় করছেন। সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে এখন ভীড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী বাসষ্ঠ্যান্ডে দেখা যায়, গাড়ি থামিয়ে অনেক শৌখিন ক্রেতারাও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য পীর (একবোটা) হিসেবে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাল শাঁস। রিকসা চালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী বা পেশার লোকজনই মৌসুমী ফল তাল শাঁস কিনতে ভীড় করছেন বিক্রেতাদের কাছে। চলতি মৌসুমে তালের সংখ্যা কম হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ক্রেতাদের আনা এ মৌসুমী ফল তাল শাঁস।