শীতের শুরুতেই গাছিদের খেজুর রস সংগ্রহের ধুম

উম্মে রুমান, বরিশাল ॥  শীতের শুরুতে পটুয়াখালী জেলা জুড়ে চলছে গাছিদের খেজুর রস  সংগ্রহের ধুম। জেলার উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে শীতের হাওয়া লাগতে না লাগতে সাগর পাড়ের তীরবর্তী অঞ্চলের গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহের কাজে এখন মহা ব্যস্ত । আর কিছুদিন পর সোনালী ধান আমন কাটা শুরু হবে। তখন একদিকে চলবে ধান মাড়াইয়ের কাজ । আর অন্যদিকে চলবে নতুন ধানের পিঠা-পুলি বানাতে কৃষাণীদের ব্যস্ততা। খেজুর রসে ডুবিয়ে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তাইতো শহরে থাকা মানুষগুলো শীতের মৌসুমে তাদের নিজ নিজ গ্রামগুলোতে একটু খেজুর রসের ও কিছুটা পিঠার স্বাদ নিতে ছুটে আসেন পরিবার পরিজন সহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে । কালের বিবর্তনে আধুনিকতার বেশ ছোঁয়া লাগলেও এখানের গ্রামগুলোতে এখনও চলে নানা রঙের পিঠা তৈরির আয়োজন। সকালে এবং বিকেলেও পিঠা তৈরির জমজমাট আসর বসে গ্রামে।  গ্রামে ছুটে আসা শহরের মানুষগুলো সকাল হলেই কাঁচা খেজুর রস খাওয়ার জন্য বেশ আগ্রহ দেখায়। অনেকেই কাঁচা খাঁটি খেজুর রস বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে গ্রামের বাইরে যারা বসবাস করে। তবে শীতের এসময় গ্রাম গঞ্জে খেজুর রস দিয়ে শিরনি তৈরী হয়। এ শিরনি গ্রাম ও শহুরে  মানুষদের জন্য খুবই সুস্বাদু। তাছাড়া শীতের বিভিন্ন রকমারী পিঠাতো আছেই । এ সকল পিঠার মধ্যে রয়েছে চিতল, পাটিসাপটা, ছটকা, ভাপা,পাকন,বিনি,ফুলি,নার্কেলী, হাতি-ঘোড়া সহ আরো অসংখ্য নামের পিঠা। যুগের পর যুগ ধরে গ্রামের শীতের সাথে জড়িয়ে এই ঐতিহ্যে ভূমিকা রেখে চলেছে। এদিকে শীতের শুরুতে গ্রামে বেড়াতে আসা মির্জাগঞ্জের এছাহাক শেখ জানান, শীতের কিছুটা বাতাস বইছে এখানে। তবে কিছুদিন পর শীতের মাঝামাঝি সময়ে পরিবার নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় তার নিজ গ্রামে বেড়াতে আসবেন খেজুর রস ও শীতের পিঠার স্বাদ নিতে। তিনি বলেন, গ্রামে আগের মত আনন্দ না থাকলেও অন্তত বছরে একবার শীতের মৌসুমে পরিবার নিয়ে শীতের আনন্দ গ্রামের আতœীয় স্বজনদের সাথে উপভোগ করার জন্য ছুটে আসি। তবে এখন গ্রাম আর গ্রাম নেই। গ্রামে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।